Logo
Logo
×

সারাদেশ

সিংড়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

Icon

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম

সিংড়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

নাটোরের সিংড়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের কদমকুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া ছররা গুলিতে একপক্ষের অনন্ত ১৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন আহতকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কদমকুড়ি গ্রামে জমিতে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত ঘটে। এছাড়া সম্প্রতি কদমকুড়ি জামে মসজিদের হিসাব-নিকাশ নিয়েও গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

তিনদিন আগে ওই গ্রামের ওয়াদুদ ফকিরের জমিতে পানি সেচ বন্ধ করে দেন প্রতিপক্ষ রতন আলী ও তার ভাই মানিক হোসেন। এতে শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা। এর জেরে শনিবার রাতে রতন আলী ও মানিক হোসেনের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষদের দিকে ছররা গুলি ছোঁড়ে তারা। এতে অন্তত ১৫জন আহত হয়। গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। পরে রাতেই আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছররা গুলিতে আহতরা হল, ইব্রাহিম মন্ডল (৩২), এলাহী মন্ডল (২৮), আল আমিন মন্ডল (১৬), নাসিম আলী (২৫), সুজন আলী (১৭), শাকিল (১৮), রফিকুল ইসলাম (৪৮), ফরিদ আলী (৩৮), সুয়েল আলী (২৪), আব্দুল আজিজ (৪৯), মান্নান হোসেন (৫৮), মাসুদ রানা (৩২), শাহাদত আলী (৩৯), হনুফা বেগম (৫২) ও জাকারিয়া হোসেন (১৮)।

আহত এলাহী মন্ডল বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পানি সেচ বন্ধ করে দিয়েছে রতন ও মানিক। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর হামলা ও গুলি চালানো হয়েছে।’ আহতের স্বজন রিতা খাতুন জানান, জমিতে পানি দেওয়া নিয়ে তিনদিন ধরে বিরোধ চলছিল। হঠাৎ প্রতিপক্ষের পাঁচজন বন্দুক হাতে তাদের ওপর গুলি চালায়। সবাই গুলিবিদ্ধ হয়ে আতঙ্কে মাটিতে পড়ে যান।

স্থানীয় বাসিন্দা মামুন হোসেন বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর ধরে কদমকুড়ি জামে মসজিদ কমিটি দখল করে রেখেছে রতন আলী, আবুল হোসেন ও এছার উদ্দিন। মসজিদের কোনো উন্নয়ন তারা করেনি। সম্প্রতি আমরা ছয় ভাই মসজিদের উন্নয়নের এক লাখ টাকা দান করি। সেই টাকার হিসাব চাওয়ায় আমাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে কদমকুড়ি জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি রতন আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে তার ভাই মানিক হোসেন বলেন, ‘জমির মালিকানা বা দখল নিয়ে কোনো ঘটনা নেই। জমির আইল কেটে পানি চলে যাওয়ায় এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এখানে মসজিদের হিসাব-নিকাশেরও কোনো ঘটনা নেই।’

সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম