Logo
Logo
×

সারাদেশ

বটি দিয়ে কুপিয়ে মাকে হত্যার পর পাশে বসে বিলাপ করছিলেন সিয়াম

Icon

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম

বটি দিয়ে কুপিয়ে মাকে হত্যার পর পাশে বসে বিলাপ করছিলেন সিয়াম

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সিয়ামকে ঘরের বাইরে বের হতে প্রায় বাঁধা হয়ে দাঁড়াতেন মা নাসিমা বেগম (৫০)। এ ক্ষোভেই মাকে বটি দা দিয়ে কুপিয়ে ও ছেহাইট (এক প্রকার কাঠের দণ্ড) দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন তিনি। ঘটনার পর মায়ের লাশের পাশে বসেই বিলাপ করছিলেন ছেলে সিয়াম।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে সিয়ামকে (১৯) ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা বটি দা ও ছেহাইট।

শুক্রবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নাসিমা বেগম আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান মোল্লার স্ত্রী।

আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন যুগান্তরকে জানান, এ হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভিকটিম নারীর ছেলে সিয়ামকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম তার মাকে ধারালো বটি দা দিয়ে কুপিয়ে ও ছেহাইট দিয়ে আঘাত করে হত্যার কথা স্বীকার করে।

অভিযুক্ত সিয়াম স্বীকারোক্তিতে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তার মা তাকে বাইরে বের হতে নিষেধ করতেন। এ কারণে তার মায়ের ওপরে ক্ষোভ ছিল তার। তাই পরিকল্পিতভাবে শুক্রবার ভোরে তার বাবা মিজান মোল্লা নামাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলে ঘরে থাকা বটি দা দিয়ে তার মাকে কুপিয়ে ও ছেহাইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে সিয়াম।

ওসি বলেন, ভিকটিমের নাতি ওমর ফারুক (৭) তার নানির সঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন। সিয়াম তার মাকে কুপিয়ে হত্যার সময় নাসিমা বেগমের চিৎকারে তার ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় দেখেন তার মামা সিয়াম তার নানিকে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে। এ সময় ওমর ফারুকের চিৎকারে স্বজন ও আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।

ওসি ছমিউদ্দিন আরও জানায়, সিয়াম মানসিক প্রতিবন্ধী। তিনি প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। তাকে বারবার ফিরিয়ে আনার ক্ষোভ থেকে তার মাকে তিনি হত্যা করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অন্য কোনো রহস্য রয়েছে কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আখাউড়া থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন জানিয়েছেন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম