Logo
Logo
×

সারাদেশ

খাগড়াছড়িতে জেলারকে অবরুদ্ধ

Icon

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৮ পিএম

খাগড়াছড়িতে জেলারকে অবরুদ্ধ

একাধিক অনিয়মের অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার আক্তার হোসেন শেখকে তার অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন কারারক্ষীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

পরে খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. শাহীন আলম এসে কারারক্ষীদের নিরস্ত্র করেন।

এরপর খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান মারুফ এসে কারারক্ষীদের নিয়ে বসে অভিযোগ শুনে জেলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

কারারক্ষী নাছির উদ্দীন ও আব্দুস সালাম বলেন, খাগড়াছড়ি জেল সুপার আক্তার হোসেন শেখ সাধারণ কারারক্ষী এবং বন্দি আসামিদের নানাভাবে মানসিক অত্যাচার করতেন। যেকোনো কাজের জন্য তাকে উৎকোচ দিতে হতো। এসব বিষয় নিয়ে একবার আসামিরা জেলারকে ভেতরে আক্রমণের চেষ্টা করেন। পরে আমরা দ্রুত জেলারকে নিরাপত্তা প্রদান করি। এছাড়াও গত বছর সাংবাদিকরা উনার অনিয়মের বিষয়ে নিউজ করলে তা তদন্ত হয়। ইতোমধ্যে উনাকে ওএসডি করে বদলি আদেশ হয়। আজ তিনি খাগড়াছড়ি ত্যাগ করার কথা; কিন্তু আজ হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই তিনি আমাদের রাজশাহী বদলি করে দেন।

খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক বাপ্পি দাশ বলেন, এই জেলার আক্তার হোসেন শেখের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। গত জুলাই আন্দোলনে ১৭ জুলাই পুলিশ আমাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে। পরে জেলে গেলে জেলার আমার কাছ থেকে আমাকে মানসিকভাবে টর্চার করে দেড় ফুট জায়গার জন্য মাত্র ৯ দিনে ৪৬ হাজার টাকা আদায় করেন। আমি উনার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করব।

আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, একটা পারিবারিক মামলায় ২০২৪ সালে আমি ২ মাস ৫ দিন কারাগারে থাকি। তখন ১০-১৫ হাজার টাকা দিয়ে কারাগারের ভেতরে থাকতে হয়। না হলে অত্যাচার, মারধর করা হয়। এটা ভেতরে নিত্যদিনের ঘটনা, এটা প্রতিনিয়ত চলে।

খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার কমিশনার মো. শাহীন আলম বলেন, কারারক্ষীদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করব। আসলে বিষয়টি কোনো সমস্যা না, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। উনার বদলি হয়েছে সুতরাং উনি স্বাভাবিকভাবেই এখান থেকে যেতে পারবেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম