Logo
Logo
×

সারাদেশ

জোড়া খুনের ঘটনায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আতিকুর

Icon

রংপুর ব্যুরো

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম

জোড়া খুনের ঘটনায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আতিকুর

রংপুরের পীরগঞ্জের আলোচিত মা ও মেয়ে খুনের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্ত আতিকুর রহমান মণ্ডল। খুনের দায় স্বীকার করে তিনি পীরগঞ্জ থানা আমলি আদালত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৪ এর বিচারক মনতাজ আলীর কাছে জবানবন্দি প্রদান করেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ ফারুক। 

তিনি জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল বেলা খবর পেয়ে পীরগঞ্জ থানার ১৪নং চতরা ইউনিয়নের কাটাদুয়ার মৌজার বড় বদনাপাড়া গ্রামে একটি মরিচখেতে অজ্ঞাত মহিলার মস্তক বিহীন উদ্ধার করেন। স্থানীয় লোকজন মৃতদেহটি শনাক্ত করতে না পারায় সিআইডির বিশেষজ্ঞ টিমকে সংবাদ দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহের হাতের আঙুলের ছাপ গ্রহণ করেন। আঙুলের ছাপ অনুযায়ী মৃতের নাম দেলোয়ারা বেগম বলে শনাক্ত করা হয়। বাবা মৃত রবিউল ইসলাম, বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানার পশ্চিম গোলমুন্ডা ফকিরপাড়া গ্রাম। বর্তমান ঠিকানা ছিল গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার দিলালপুর ফুলপুকুরিয়া গ্রাম।

পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ গ্রহণের কোনো অভিভাবক না থাকায় আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে রংপুরে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।

এদিকে এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানার এসআই অনন্ত কুমার বর্মণ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন এবং একই থানার ওসি নিজেই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড সংঘটনকারী আতিকুর রহমান মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত আতিকুর রহমানের দেওয়া তথ্য ও শনাক্ত মতে ৩৬ ঘণ্টা পর কাটা মস্তক উদ্ধার করে পুলিশ।

এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পরকীয়ার কারণে স্ত্রী খুনের ঘটনার দেড় মাস পূর্বে ৬ বছরের শিশু কন্যা সাইমার খুনের দায় স্বীকার করে। এ সময়কাল ধরে সাইমা নিখোঁজ বলে সবাই জানত। এ তথ্য বলার পরে তার দেখানো ও শনাক্তমতে নিহত মা দেলোয়ারার শিশুকন্যা সাইমার (৪) গলিত লাশ একই এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

আতিকুর রহমান ও দেলোয়ারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতেন। স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম যাত্রাশিল্পী হিসেবে বিভিন্ন যাত্রাদলে কাজ করতেন। 

এ ঘটনায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত আতিকুর রহমানকে আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে অভিযুক্তের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেলোয়ারা বেগমকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয় করতোয়া নদী থেকে।

জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আতিকুর রহমান স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের ইচ্ছাপোষণ করেন এবং সেই অনুযায়ী পীরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক মনতাজ আলীর কাছে জবানবন্দি দেন তিনি। 

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ ফারুক বলেন, আলোচিত মা মেয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আতিকুর রহমানের মা আফিয়া বেগমকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জেলহাজতে রয়েছেন। সেই সঙ্গে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায় আতিকুর রহমানকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম