Logo
Logo
×

সারাদেশ

চুরির অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, রগ কেটে চোখ তুলে ফেলা হয়

Icon

ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম

চুরির অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, রগ কেটে চোখ তুলে ফেলা হয়

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুরে চুরির অভিযোগে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পায়ের রগ কেটে ও চোখ তুলে ফেলার পাশাপাশি পিটিয়ে দুজনকে হত্যা করা হয়।

তারা হলেন- বালিয়াকান্দির মো. নূরুল হকের ছেলে মো. নয়ন (নন্না চোরা) ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর খাসমহল এলাকার মো. সফিজল ইসলামের ছেলে আমির হোসেন। 

নয়ন অপর এক মামলায় গ্রেফতারের পর একদিন আগে জামিন পেয়ে এলাকায় আসেন।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন- তার বিরুদ্ধে ওই থানায় ১৬টি মামলা রয়েছে। এর বেশিরভাগই চুরির ঘটনা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মেঘনা নদীতে ডাকাতির অভিযোগও রয়েছে।

বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, আমির হোসেন একটি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বলেন, দুজনকে হত্যার পেছনে চুরির ঘটনা না অন্য কারণ তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

স্থানীয়রা জানান, সোনাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ চাপড়ি গ্রামের আব্দুল খালেকের গোয়ালঘর থেকে গরু চুরি করতে গেলে টের পেয়ে এলাকাবাসী তাদের ঘিরে ধরেন। পরে ভূঁইয়া বাড়ির দরজার মসজিদের মাঠে তার বিচার করা হয়।

ওই এলাকার এক যুবক জানান, টানা সাত বাড়িতে চুরির পর অষ্টম বাড়িতে প্রবেশ করলে এলাকার মানুষ একে অপরকে মোবাইল ফোনে ঘটনা জানাতে থাকেন। সবাই বের হলে নয়ন ও আমির পালাতে পারেনি। তাদের মারধর করার পর চোখ খুঁচিয়ে তোলা হয়। পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।

তজুমদ্দিন থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গণপিটুনির খবর পেয়ে ভোর ৪টায় পুলিশ গিয়ে তাদের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তজুমদ্দিন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. রফিক সাদী জানান, নয়ন এলাকায় নদীর ডাকাত ও স্থলে চোরের লিডার হিসাবে পরিচিত ছিলেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, লঞ্চ ঘাটে নয়নের আস্তানা ছিল। যাত্রীদের তার আস্তানায় এনে মারধর করে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অনেক ঘটনা রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম