যশোর সদর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

তিনি বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি পরিদর্শন ও সহায়তা দেন। একইসঙ্গে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জড়িতদের দ্রুত আটকের আহ্বান জানান। 

এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর হাড়ি-পাতিল, ঘরের টিন, খাবার ও বাচ্চাদের বইপত্র কিনে দেওয়া হয়েছে।

পরিদর্শনকালে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, যে বা যারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সে যদি নিজ দলেরও হয়ে থাকে তাহলেও তার ঠিকানা হবে জেলখানা। দল তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, বিএনপি শান্তির দল। এখানে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের কোনো স্থান হবে না। এ সময় তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নির্দেশ দিয়ে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থেকে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য বলেন। 

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা। তিনি বলেন, নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর হাড়ি-পাতিল কিনে দেওয়া, ঘরের টিন বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খাবার ও তাদের সন্তানদের বইপত্র কিনে দেওয়া হয়েছে। 

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে জমিতে সেচের পানি দেওয়া নিয়ে বিরোধে সদর উপজেলার আব্দুলপুর ও বড় হৈবতপুর গ্রামবাসীর মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় আব্দুলপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে মাইকে ঘোষণা দিয়ে হৈবতপুর গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়। এতে জখম হন হৈবতপুর গ্রামের বিএনপি ও যুবদলের চার নেতা। 

এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার রাতে আবদুলপুর গ্রামে ইউপি মেম্বর আনিসুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য মহাসিনসহ চারজনের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। 

খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। যৌথবাহিনীর সদস্যরা সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে। লুট হওয়া ১১টি ছাগল ও ৮টি গরু উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় মামলা হলেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।