Logo
Logo
×

সারাদেশ

নিখোঁজের ২৩ দিন পর পুকুরে মিলল স্কুলছাত্রের বস্তাবন্দি মরদেহ

Icon

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম

নিখোঁজের ২৩ দিন পর পুকুরে মিলল স্কুলছাত্রের বস্তাবন্দি মরদেহ

নিখোঁজের ২৩ দিন পর স্কুলছাত্র রোমান শেখের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে সন্ধানের দাবিতে থানা ভাঙচুরের পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার ছয়গাঁও এলাকার একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আসামি সিয়ামের বাড়ির পাশে বিকট গন্ধ পেয়ে জড়ো হন শত শত মানুষ। পরে লাশের অস্তিত্ব টের পেয়ে অভিযুক্তের বসতঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। একপর্যায়ে র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে ২২ দিন আগে নিখোঁজ শ্রীনগরের বেলতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও অটোচালক ছাত্র রোমান শেখের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহটি সিমেন্টের খুঁটি ও ইটের সাথে বেঁধে পুকুরে কচুরির ভেতরে লুকানোর উদ্দেশ্যে ফেলে রাখা হয় বলে জানায় পুলিশ। গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ স্কুলছাত্রের সন্ধানের দাবিতে সিরাজদিখান থানায় হামলা করে ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ স্বজন ও সহপাঠীরা।

সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনম ইমরান খান মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২১ জানুয়ারি স্কুলছাত্র রোমান শেখ বাসা থেকে অটোরিকশা নিয়ে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ২৫ জানুয়ারি ৩ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন নিহত রোমানের পিতা মিরাজ শেখ। পুলিশ এ ঘটনায় সিয়ামসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় অটোরিকশাটি। তবে আসামিরা পুলিশকে রোমানের বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।

নিহত রোমান শেখ (১৫) সিরাজদিখান উপজেলার থৈরগাঁও গ্রামের মিরাজ শেখের ছেলে। মামলার প্রধান আসামি সিয়াম ওরফে জিহাদ (১৯) শ্রীনগরের ছয়গাঁও এলাকার রফিক ফকিরের ছেলে।

লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমরান খান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও বিক্ষুব্ধ জনতার বাধায় মরদেহ উদ্ধার করতে সময় লেগেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা আসামির ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে জানান তিনি। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

রোমান শেখের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতন মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম