Logo
Logo
×

সারাদেশ

ঘুসের টাকা কম দেওয়ায় রেগে গেলেন এসআই

Icon

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম

ঘুসের টাকা কম দেওয়ায় রেগে গেলেন এসআই

আদালতের নির্দেশে সিআর মামলা তদন্ত করতে ঘুসের টাকা কম দেওয়ায় রেগে গিয়ে বাড়ির নারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে এসআই আয়নালের বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানায় কর্মরত রয়েছেন।

জানা যায়, উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের হরিহরদিয়া গ্রামে গত এক মাস আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পরিবার থানায় ও আরেক পরিবার আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে মীমাংসা করে দুই পরিবার।

এরপর গত সোমবার কাঙ্ক্ষিত টাকা না দেওয়ার কারণে হরিরামপুর থানার এসআই আয়নালসহ একজন কনস্টেবল নিয়ে শেখ জাহিদের স্ত্রী কইতরি বেগম ও তার মা আলেয়া বেগমের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং নানাভাবে ভয় দেখান বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।

অপরদিকে আব্দুল ছামাদের কাছ থেকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে প্রথমে তিন হাজার এবং সোমবার রাস্তা খরচের কথা বলে ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন এসআই আয়নাল।

শেখ জাহিদ বলেন, ঝগড়ার ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ করার পর এসআই আইনাল আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে আমি তাকে ৩ হাজার টাকা দেই। গত সোমবার তিনি আমার বাড়িতে এসে আমাকে বাড়িতে না পেয়ে আমার মা ও স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। 

শেখ জাহিদের মা আলেয়া বেগম বলেন, ওই পুলিশ এসে আমাকে ধমকিয়ে ধমকিয়ে আইডি কার্ড আনতে বলেছেন। কেস হওয়ার পর আমার বড় ছেলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।

জাহিদের স্ত্রী কইতরি বেগম বলেন, আমি রান্না করছিলাম তিনি প্রথমে এসে বলেন আমাকে চিনেন? আমি পরে না করার পরে বলে আমি দারোগা। পরে আমি আর আমার শাশুড়ি কথা বলতেছি, সে আমাদের ধমক দিয়ে বলে- ওই মহিলা মানুষের এতো কথা কিসের। যান আইডি কার্ড নিয়ে আসেন। তারপর আমার বাবা আমাদের বাড়িতে এলে তাকেও নানারকম জেরা করেন।

আব্দুল ছালাম বলেন, ঝগড়ার পর জাহিদরা থানায় মামলা করার পর দারোগা আয়নাল আমাদের বাড়িতে তদন্তে এলে মেম্বারকে দিয়ে ৩ হাজার টাকা দেই। পরে এই তারিখে আমার মামলার তদন্তে এলে ভয়ে আমি ২ হাজার টাকা দিয়েছি।

এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার এসআই আয়নাল বলেন, আমি তদন্তে গিয়েছিলাম। নাউজুবিল্লাহ! আমি কারো কাছে থেকে কোনো টাকা নেই নাই।

হরিরামপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মমিন খান বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম