যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে বিএনপির একাংশের কিছু কর্মী তালা দেন। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে না দেওয়ার জন্য অফিসে তালা লাগানো হয় বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

এ সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালসহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন। তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের ভাই।

তাদের বাবা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার কাজী রফিকুল ইসলাম।

ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে তালা লাগানোর এ ঘটনায় এলাকায় সর্বস্তরের নারী-পুরুষ দলবদ্ধ হয়ে তালা খুলে ফেলে। এ সময়  এলাকার বিএনপির একাংশের নেতা আমানাত আলী তার  সমর্থকদের নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগ দেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদে বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে ইউনিয়ন অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তারা স্লোগান দেন স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টের সহযোগী মোস্তাফিজুল ইসলামকে কোনোভাবেই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে তারা মেনে নেবেন না।

চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুল ইসলাম জানান, জনগণ তালা খুলে দেওয়ার সময় বিএনপির ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি আকরাম হোসেনের কিছু সন্ত্রাসী জনগণের ওপর হামলা করে। এ সময় এলাকার জনগণ দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, কেশবপুর থানার পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুল ইসলাম ৫ আগস্টের পরে ওই চেয়ারে বসে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অপতৎপরতায় লিপ্ত আছেন। বিভিন্ন সময় তিনি বিএনপিসহ এ সরকারের নামে বিভিন্ন কথাবার্তা বলেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ ছিল সে কারণেই ইউনিয়ন পরিষদে তাকে আর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হবে না বলে এলাকার মানুষজন ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেন।

তিনি দাবি করেন, ওই তালা চেয়ারম্যান পক্ষের লোকজন ভেঙে ফেলতে গেলে তাদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।