Logo
Logo
×

সারাদেশ

যমুনা রেল সেতুতে নবযুগের সূচনা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, টাঙ্গাইল ও ভূঞাপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম

যমুনা রেল সেতুতে নবযুগের সূচনা

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যমুনা নদীর উপর অত্যাধুনিক স্টিল প্রযুক্তির তৈরি দেশের বৃহৎ রেলওয়ে সেতুতে শুরু হয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেন পার হওয়ার মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হলো দেশের দীর্ঘতম এই রেল সেতু দিয়ে।

এর মধ্য দিয়ে ইতি ঘটল যমুনা বহুমুখী সেতুতে ট্রেন চলাচল। আগামী ১৮ মার্চ সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় উত্তরবঙ্গের মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটল।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্ক সিটি ট্রেনটি বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সেতুর সিরাজগঞ্জ প্রান্ত থেকে ১১টা ৩০ মিনিটে টাঙ্গাইল প্রান্তে আসে। এছাড়াও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ১১টা ৩৮ মিনিটে টাঙ্গাইল প্রান্ত ত্যাগ করে।

জাপান-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে যমুনা নদীর উপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে সেতুর অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ শেষে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল সম্পন্ন হয়েছে। সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর পর উভয়প্রান্তের স্টেশনে রেল ক্রসিংয়ের সময় বাঁচানোর পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যে আরও গতি ফিরবে।

৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই রেল সেতুর কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের আগস্টে। পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি ২ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে জাইকা। প্রায় সহস্রাধিক দেশি বিদেশি প্রকৌশলী আর শ্রমিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয় গত বছরের সেপ্টেম্বরে। এরপর ৫ জানুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হয় ৪০ কিলোমিটার থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে। যমুনা রেল সেতুতে দুটি লাইন থাকলেও প্রথমে একটি লাইন দিয়ে উভয় দিকে ট্রেন চলাচল করবে।

এদিকে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ দুই লাইনেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে উচ্ছ্বসিত এ প্রকল্পের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও যাত্রীরা।

এ সময় ট্রেনে থাকা যাত্রীরা হাত নেড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন; পাশাপাশি রেল সেতু প্রকল্প সংশ্লিষ্টরাও জানান তাদের উচ্ছ্বসিত অনুভূতি। রেল সেতুটি ২০২০ সালের নভেম্বরে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়; যা চলতি বছরের মার্চে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহীর যাত্রী আশিকুর রহমান বলেন, আমি ঢাকায় যাচ্ছি জরুরি কাজে। অন্যান্য দিনের চেয়ে আজকের সময় অনেক কম লাগল। নতুন সেতু দিয়ে যাওয়ার কারণে ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে আমি খুব খুশি।

যমুনা সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনের মাস্টার মো. শাহীন মিয়া বলেন, ১২০ কিলোমিটার গতির ধারণক্ষমতা থাকলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলছে। অনুমতি পেলে গতি আরও বাড়ানো হবে। সব ট্রেনই এখন নতুন রেল সেতু দিয়ে চলবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম