Logo
Logo
×

সারাদেশ

দোয়ারাবাজারে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিটিসিএলের সকল কার্যক্রম

Icon

তাজুল ইসলাম, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) থেকে:

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৩ এএম

দোয়ারাবাজারে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিটিসিএলের সকল কার্যক্রম

ছবি: যুগান্তর

জরাজীর্ণ ভবন, জনবল সংকট ও বিকল যন্ত্রপাতি দিয়ে চলছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এর নামমাত্র কার্যক্রম। এক যুগ ধরে উপজেলা বিটিসিএল অফিসে নেই কোনো কর্মকর্তা। মাত্র একজন লাইনম্যান দিয়েই চলছে পুরো কার্যক্রম। কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন গ্রাহকরা।

উপজেলা বিটিসিএল অফিস সূত্র জানা গেছে, ২০০৬ সালে উপজেলায় বিটিসিএলের কার্যক্রম ডিজিটাল করা হয়। পুরো উপজেলা জুড়ে বিটিসিএলের মাত্র ৩৫টি টেলিফোন সংযোগ রয়েছে। এর সবগুলোই বিকল। দীর্ঘদিন ধরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও সচল করার নেই কোনো উদ্যোগ। খোদ উপজেলা বিটিসিএল অফিসের টেলিফোন সংযোগটিও পড়ে আছে বিকল অবস্থায়। ফলে গ্রাহকরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাইনবোর্ডবিহীন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে উপজেলা বিটিসিএল অফিসটি। আশির দশকে নির্মিত দুতলা ভবনটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পড়ে আছে বেহাল দশায়। চারপাশে ঝোপঝাড় ও আগাছায় ভরপুর। ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে ভবনের ভেতরে যত্রতত্র শেওলার স্তূপ। এছাড়াও ভবনের দরজা, জানালা ও কাচ ভেঙে গেছে। বর্তমানে কর্মরত লাইনম্যান ও তার পরিবার ভাঙা দরজা জানালা জোড়াতালি দিয়ে অফিস ভবনেই বসবাস করছেন। অফিসের সম্মুখভাগে কাঁটাতারের সীমানা প্রাচীরের কোনো চিহ্নই নেই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কখনও আসতে দেখা যায় না এখানে। যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে।

উপজেলা পরিষদের সিএ সফিক রহমান বলেন, ‘আমাদের অফিসের টেলিফোনটি অনেক দিন ধরেই বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিটিসিএল অফিস থেকে কোনো খোঁজ নেয়নি।’

বিটিসিএল অফিসের লাইনম্যান মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘জনবল না থাকায় ওই সবকিছু আমিই দেখাশোনা করছি। জেলা অফিস থেকে এ অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।’

সুনামগঞ্জ জেলা বিটিসিএল অফিসের সহকারী ব্যবস্থাপক মোহন কুমার পন্ডিত বলেন, ‘আমাদের কাজের পরিধি কম থাকায় প্রতি উপজেলায় একজন লাইনম্যান দিয়েই কাজ চলছে। ফাইবার এক্সচেঞ্জ না থাকায় দোয়ারাবাজার উপজেলার সবকটি টেলিফোন সংযোগ বিকল রয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাচন অফিস ও হাসপাতালে আমাদের ইন্টারনেট সংযোগ সচল আছে।’ তবে ‘দোয়ারাবাজারের অফিসটি সংস্কার করা হবে। এছাড়া ফাইবার এক্সচেঞ্জ চালুর কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম