ওয়াকফ জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেরার মক্রবপুর ইউনিয়নের ভাতড়া উত্তরপাড়া গ্রামে ওয়াকফ করা ১১৪ শতক জমির মাটি কেটে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই দম্পতি দাবি করছেন, তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থেকে অনুমতি নিয়ে মাটি কাটছেন। তবে উলটো কথা বলছেন ইউএনও। তার দাবি, মাটি কাটার জন্য কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওয়াকফ জমির মাটি বিক্রি করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা
নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছে এ দম্পতি। মাটি বিক্রি করতে করতে ইতোমধ্যে জমিটি ১০ ফুটের বেশি
গভীর করেছে তারা।
মাটি বিক্রির সঙ্গে জড়িত ভাতড়া উত্তরপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে
জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৩ সালের ওই গ্রামের সুজ্জাত আলী ভূঁইয়া
মসজিদ, মক্তব ও দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১১৪ শতাংশ জায়গা ওয়াকফ করে দেন। চলতি মাসের
শুরুতে জয়নাল ও তার স্ত্রী হাজেরা জমিটিকে নিজেদের বলে দাবি করে। জমি থেকে মাটি কাটার
জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অনুমতি চান তারা।
ইউএনও অনুমতি না দিলেও জয়নাল ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগম প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি
দেখিয়ে প্রভাব খাটিয়ে রাতের অন্ধকারে মাটি বিক্রি করছে। বিষয়টি জেনেও নিরব ভূমিকায়
প্রশাসন।
স্থানীয় বৃদ্ধ আবদুস ছাত্তার বলেন, ‘সুজ্জাত আলী ভূঁইয়া তার সম্পত্তি
মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা ও এতিমদের জন্য ওয়াকফ করে দেন। কিন্তু জয়নাল জোরপূর্বক জায়গা
দখল করে মাটি বিক্রি করছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জয়নালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাটি কাটার
জন্য আমরা ইউএনও থেকে অনুমতি নিয়েছে।’ তবে অনুমতি না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইউএনও। উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-আমিন সরকার বলেন, ‘তাদের মাটি কাটার কোনো অনুমতি দেওয়া
হয়নি। যেহেতু অনুমতি ছাড়া তারা মাটি বিক্রি করছে তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।’
কুমিল্লা জেলা ওয়াকফ পরিদর্শক আলাউদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে
আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’