গৌরনদীতে গণঅধিকার পরিষদের অফিসে ভাঙচুর, মামলা

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৪ পিএম

বরিশালের গৌরনদীতে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ৩০টি চেয়ার, ১টি টেবিল, দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সম্পাদকের ছবি ভাঙচুর ও ৪টি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার সকালে এ ঘটনায় জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন বাদী হয়ে খলিল বেপারী ও তার স্ত্রীর নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।
রোববার সকাল ১০টার দিকে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে গয়নাঘাটা নামক স্থানে গণঅধিকার পরিষদ কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন বলেন, উপজেলার দক্ষিণ পালরদী এলাকার মজিবুর বেপারীর ছেলে খলিল বেপারীর নেতৃত্বে ৮-১০ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে রোববার সকাল ১০টার দিকে গৌরনদী উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
তিনি জানান, হামলাকারীরা কার্যালয়ের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে কার্যালয়ের ৩০টি চেয়ার, ১টি টেবিল, ৪টি ব্যানার, দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নূর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের ছবি ভাঙচুর করে।
নুরুল আমিন বলেন, অপর ১টি কাঠের টেবিলের ড্রয়ারের তালা ভেঙে নগদ ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫২ টাকা লুট করে নিয়ে যায় ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ করে। হামলাকারীরা আমাদের প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়।
গৌরনদী থানার ওসি ইউনুস মিয়া জানান, এ ব্যাপারে জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন বাদী হয়ে খলিল বেপারী (৪৫) ও তার স্ত্রী ফিরোজা বেগমের নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে সোমবার সকালে থানায় একটি মামলা করেন। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, সড়ক ও জনপথের জায়গায় নির্মিত ঘর নুরুল ইসলাম বেপারীর কাছ থেকে গত ৩-৪ মাস পূর্বে স্থানীয় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ভাড়া নিয়ে উপজেলা কার্যালয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। খলিল বেপারী ওই ঘরের মালিকানা দাবি করলে নুরুল ইসলাম বেপারীর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ঘরের মালিকানা দাবি নিয়ে নুরুল ইসলাম বেপারী ও খলিল বেপারীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।