Logo
Logo
×

সারাদেশ

পুলিশের সামনে যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতি

Icon

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫১ পিএম

পুলিশের সামনে যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতি

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পুলিশের সামনে যাত্রীবাহী দুটি নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুটি নৌকার যাত্রী ও ৬ থেকে ৭ জন গরু ব্যবসায়ীর কয়েক লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়েছে ডাকাতরা।

এ সময় মোসলেম নামে এক ব্যক্তিসহ ৫-৬ জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। রোববার ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল ঘাটের উত্তরে দুটি নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। 

ডাকাতির শিকার নৌকার মাঝি ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কড়াইবরিশাল খেয়া ঘাটের কাছে দুটি যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতরা হামলা করে। নৌকা দুটি রাজিবপুরের কোদালকাটি ও পাখিউড়া থেকে চিলমারীর উদ্দেশে আসছিল। মাঝপথে যাত্রী নেওয়ার জন্য কড়াইবরিশাল খেয়া ঘাটের ভিড়লে সেখানেই আক্রমণ করে শসস্ত্র ডাকাতদল। তারা গুলি ছুঁড়ে নৌকায় থাকা যাত্রী ও গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা ডাকাতি করে চলে যায়। যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয়রা ডাকাতদের ধাওয়া করে। খেয়া ঘাটে একটি নৌকায় থাকা চিলমারী থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য থাকলেও তাদের সামন দিয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ সদস্যরা নির্বিকার ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী যাত্রী ও স্থানীয়রা। এ সময় ডাকাতদের আক্রমণে মোসলেম নামে এক ব্যক্তিসহ ৫-৬ জন যাত্রী আহত হয়েছেb। 

নৌকার মাঝি মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘খেয়াঘাটে গরু ব্যবসায়ীদের নৌকা ছিল। ওদের নৌকায় ডাকাতি করতে আইসা আমার নৌকাতেও ডাকাতি করে। ১০ থেকে ১৫ জন ডাকাত ছিল। দুই নৌকা থাইকা টাকা লুট কইরা ডাকাতরা চইলা যায়। আমরা কিছু করতে পারি নাই।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মাঝি মোসলেম আরও বলেন, ডাকাতরা একটা গুলি করেছে। আমার কাছে তিন যাত্রীর ৫৭ হাজার টাকা ছিল, আমাক আঘাত করে সেই টাকা কাইরা নিছে। কয়েকজন যাত্রীর কাছেও টাকা নিছে। গরুর ব্যবসায়ী কাছেও টাকা কাইরা নিছে। অথচ ডাকাতি চলাকালীন সময়ে আমাদের পাশেই পুলিশের পোশাক পরা তিনজন পুলিশ ছিল তারা এগিয়ে আসেনি। 

কড়াইবরিশাল এলাকার ইসহাক নামে এক নৌকা যাত্রী বলেন, দুইটি নৌকায় যাত্রী ও গরু ব্যবসায়ীদের থেকে ৪-৫ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। ডাকাত দেখে অনেকে পানিতে লাফ দিয়েছে। তাদের সঙ্গে থাকা টাকা পানিতে ভিজে গেছে।

কড়াইবরিশাল এলাকার বাসিন্দা আজম মিয়া জানান, গুলির শব্দ ও যাত্রীদের চিৎকারে ঘাটের কাছে থাকা স্থানীয় লোকজন এগিয়ে যান। তারা নৌকা নিয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করেন। কিন্তু ততক্ষণে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘাটে পুলিশের একটি নৌকা থাকলেও তারা যাত্রীদের সহায়তায় এগিয়ে যাননি।

ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ী আজম মিয়া বলেন, ব্যাপারীদের কয়েক লাখ টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে। আমরা ধাওয়া করেছিলাম। পুলিশ একটা ফাঁকা গুলি করলেও ডাকাতদের ধরা যেত। তারা এগিয়ে আসেনি।

চিলমারী মডেল থানার ওসি মুশাহেদ খান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ৩ সদস্যের একটি পুলিশ টিম পাশ্বে ছিল, তারা কাছাকাছি যেতেই ডাকাত দল চলে যায়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম