আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। ফেনীর দাগনভূঞায় রোববার দুপুরে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে দুই গ্রুপ দাগনভূঞা বাজারে পালটা-পালটি বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়। বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। 

স্থানীয়রা জানান, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জামসেদুর রহমান ফটিক ও থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল জাবেদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ৫ আগস্টের পর থেকে আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। 

একটি পক্ষের দাবি- ফেনী জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামসেদুর রহমান ফটিকের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এতে আহত হয় দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কেএম সাইমুন হক রাজিব, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল হক জাবেদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। এতে বেশ কয়েকজন পথচারীসহ ১০ জন আহত হন।

জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জামেশদুর রহমান জানান, জেলা কমিটি থেকে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের সব কর্মসূচি স্থগিত করেন। সেখানে এ কর্মসূচি দলীয় আনুগত্যবিরোধী বিধায় ত্যাগী ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। তাতে প্রতিপক্ষের আঘাতে সোহেল, চৌধুরী, সাকিব, সাদ্দাম, আকাশ, মিরাজসহ ২০ জন গুরুতর আহত হয়। আমি সংঘর্ষের সময় ফেনী ছিলাম। আমি সংঘর্ষে জড়িত ছিলাম না।

দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আকবর হোসেন জানান, শুনেছি শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রদল একটি মিছিলের ডাক দেয়। সেখানে বিনা উসকানিতে ফটিকের নেতৃত্বে হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।

দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়। পরবর্তীতে পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা। প্রাথমিকভাবে আমরা একজন পথচারী আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। সংঘর্ষে দুই গ্রুপের আহত থাকতে পারে। ধাওয়া খেয়ে উভয় গ্রুপ পালিয়ে গেছে।