আগস্টে ৫ জন নিহতের ঘটনায় এসপি আসাদুজ্জামান কারাগারে

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১১ পিএম

৫ আগস্ট নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিতে ৫ জন নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় নোয়াখালীর তৎকালীন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে কড়া পুলিশ পাহারায় তাকে নোয়াখালী পাঠানো হয়। নোয়াখালী পুলিশ তাকে ৫ আগস্টের সোনাইমুড়ী থানায় সংঘটিত ঘটনার মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে খুব গোপনীয়তার মাধ্যমে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চালান করেন।
এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর তার আইনজীবীরা কারাগারে তার ডিভিশনের আবেদন করলে আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করে জেল কোড অনুযায়ী তাকে ডিভিশন দেওয়ার জন্য আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সোনাইমুড়ী বাইপাস এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে মো. আসিফ, তাকবির হোসেন, মো. ইয়াসিন, হাসান ও ইয়াসিন নামে ৫ ব্যক্তি মারা যান। এ সময় জনতা আরও উত্তেজিত হয়ে হামলা চালিয়ে থানা ভাঙচুর করে এবং ১ এসআই ও ১ কনস্টেবলকে পিটিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।
এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানার মিরালীপুর গ্রামের বিএনপি নেতা বাদী হয়ে নোয়াখালী সদর আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও চাটখিল আসনের এমপি এএইচএম ইব্রাহীমসহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২-৩ হাজার লোককে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেফতার করে পুলিশ।