মায়ের পর মেয়ের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম
-67a89de59b5a5.jpg)
পীরগঞ্জে দেলোয়ারা বেগম ঝিনুককে (৩৬) হত্যার দেড় মাস আগে তার ৫ বছরের মেয়ে সাইমাকে হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখে ঝিনুকের কথিত স্বামী আতিকুর রহমান (৩৫)। রোববার সকালে সাইমার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এদিন উপজেলার বড় বদনারপাড়া গ্রামে আতিকুরের বাড়ির পেছন থেকে লাশটি উদ্ধার করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ।
নিহত ঝিনুক নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের পশ্চিম গোলমুন্ডা ফকিরপাড়ার রবিউল ইসলামের মেয়ে।
ঝিনুকের হত্যাকাণ্ডের খবরে মেয়ে সাইমার খোঁজ নিতে থানায় যান প্রথম স্বামী রেজাউল করিম। এরপর আতিকুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সাইমার লাশের তথ্য জানতে পারে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দেড়মাস আগে শিশু সাইমাকে হত্যার পর লুঙ্গি পেঁচিয়ে বাড়ির পেছনে ৩ থেকে ৪ ফুট গর্ত করে পুঁতে রাখেন আতিকুর।
এর আগে শুক্রবার সকালে বড় বদনাপাড়ায় মরিচ খেত থেকে ঝিনুকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে শনিবার তার মাথা উদ্ধার করা হয়। ওইদিন সকালে বোরখা পরে পালানোর সময় কাবিলপুর ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রাম থেকে আতিকুরকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য থেকে ঝিনুকের খন্ডিত মাথা ও পরে সাইমার লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দিলালপুর গ্রামের রেজাউল করিম তার স্ত্রী ঝিনুককে প্রায় দুই বছর আগে তালাক দেন। তখন থেকেই ঝিনুক কন্যা সাইমাকে নিয়ে যাত্রাগানের ভাসমান শিল্পী হিসেবে গান করতেন।
পীরগঞ্জের আতিকুর মাঝে মধ্যে ঝিনুককে ভাড়া করে আনতেন। একপর্যায়ে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী হিসেবেও পরিচয় দিতেন তারা। অনেকদিন চলে তাদের সম্পর্ক। কিন্তু কেন এ হত্যাকাণ্ড তা বলতে পারছেন না কেউ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি এমএ ফারুক বলেন, ঝিনুকের প্রথম স্বামী রেজাউল আমাদের কাছে তার শিশু কন্যা সাইমার খোঁজ জানতে চাইলে; আমরা আতিকুরের কাছে জিঙ্গাসাবাদের মাধ্যমে তথ্য পাই। পরে অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করি। দুটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য ও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে তদন্ত চলছে।
এদিকে ময়নাতদন্তের পর স্বজনরা ঝিনুকের লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। পুলিশ শনিবার রাতে রংপুর শহরের মুন্সিপাড়া সরকারি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।