Logo
Logo
×

সারাদেশ

২ শিক্ষকেই চলছে বিদ্যালয়

Icon

দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৮ পিএম

২ শিক্ষকেই চলছে বিদ্যালয়

বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষকের মধ্যে দুজনের বদলি, একজন প্রশিক্ষণে, এক শিক্ষকের মৃত্যু এবং আরেকজন চাকুরি ছেড়ে দিয়েছেন। বাকী এক শিক্ষিকা রহিমা বেগম রেনুকে দিয়ে চলছে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের চুন্দারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। সম্প্রতি অন্য বিদ্যালয় থেকে শিক্ষিকা তাহামিনা সুলতানা মিলিকে ডেপুটেশনে আনা হয়েছে। 

১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রয়েছে ১০০ শিক্ষার্থী। দুই শিফটে ৬ শ্রেণিতে নিয়মিত ৯০ থেকে ১০০ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি থাকে। 

বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি রয়েছে। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে পাওয়া গেল শিক্ষক রহিমাকে। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন। কিছুক্ষণ পর দেখা হয় তাহামিনা সুলতানা মিলি নামে এক শিক্ষিকার সঙ্গে। তাকে ওই বিদ্যালয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষিকা রহিমা।

শিক্ষিকা রহিমা জানান, শিক্ষক সংকটে থাকা বিদ্যালয়টিতে ৭ শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও ৬ জন দিয়ে চলছিল পাঠদান। প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান মারা গেলে ৫ জন মিলে স্কুল কার্যক্রম চলতেন। এরমধ্যে সহকারী শিক্ষক রওশন আরা ও আনোয়ারা হোসেন অন্য স্কুলে বদলি হয়ে যান এবং বিবি খোদেজা নামের আরেকজনের চাকরি ছেড়ে চলে যান। অন্য শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস পিটিআইতে প্রশিক্ষণে রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, শিক্ষক না থাকায় সকালে প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে ক্লাস শুরু করা হয়। অন্য বিদ্যালয় থেকে একজন শিক্ষককে এখানে ডেপুটেশনে দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা ভাগ করে একজন দুই শ্রেণি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাই। 

স্থানীয়রা জানান, শিক্ষক না থাকায় শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত। 

অভিভাবক বিলকিস আক্তার বলেন, আমার মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। শিক্ষক না থাকায় টেনশনে আছি। কিছুদিন দেখে, অন্যত্র নিয়ে যাব। 

আরেক অভিভাবক মো. নুরুল আফছার বলেন, আমার ছেলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। শিক্ষক না থাকার কারণে অভিভাবকেরা বাচ্চাদেরকে অন্য স্কুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমিও আমার ছেলেকে নিয়ে যাবো ভাবছি। 

উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, বিদ্যালয়টির একজন শিক্ষক রয়েছে সত্য। তবে এমন পরিস্থিতিতে অন্য এক শিক্ষককে ডেপুটেশনে আনা হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক দিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স.ম আজহারুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, বিদ্যালয়টির শিক্ষক সংকটের বিষয়টি জানা ছিল না। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম