সাবেক এমপি-চেয়ারম্যানসহ ৭ নেতার বাড়িতে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের ৩ নেতার বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ককটেল ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টি করা হয়।
অপরদিকে গত ৫ আগস্ট হামলা-লুটপাটের পর বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আরেক দফা লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নসহ ৪ নেতার বাসভবনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুট করা হয়। জেলা শহরের উপকণ্ঠে ওই নেতাদের বাসভবন।
স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামে চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম রিয়াজ, নুরুল্লাপুর গ্রামে সদর (পূর্ব) উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোরশেদ আলম ও পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামে জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু ছিদ্দিক মুন্নার বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। প্রত্যেক বাড়িতেই দুর্বৃত্তরা মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু ছিদ্দিক মুন্না বলেন, দুর্বৃত্তরা ঘরের তালা ভেঙে মালামাল লুট করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। পাশের ঘরে আমার স্ত্রীসহ লোকজন ছিল। খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম রিয়াজ বলেন, আমার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। সবকিছু পুড়ে গেছে। কোনো জামা কাপড় নেওয়ার সুযোগও ছিল না। ঘরে আমার বাবাসহ পরিবারের লোকজন ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লোকজন হামলা চালিয়েছে। প্রত্যেকটি ঘটনাতেই ককটেল বোমা ফাটিয়েছে তারা। অগ্নিসংযোগ করে সব জ্বালিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষও আতংকে রয়েছে। বিষয়টি বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানানো হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি কায়সার হামিদ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রেজাউল হকসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাগুলো কারা ঘটিয়েছে তা তদন্ত চলছে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো কাউকে চিনতে পারেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।