জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নারীসহ একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। পরে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। বর্তমানে আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।

আহতরা হলেন-গোবিন্দপুর গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর ও মুকবিল, মেয়ে রেশমা আক্তার এবং মেয়ের জামাই ফরিদ হোসেন।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুরুজ মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের জাকির হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে শুক্রবার দুপুরে জাকিরের নেতৃত্বে শাহজালাল, হোসেন আলী, বাদল, ইউনুস, মেহেদুলসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল সুরুজ মিয়ার জমিতে রোপণ করা গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে।

খবর পেয়ে জমিতে গিয়ে সুরুজ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর ও মুকবিল হোসেন তাদেরকে বাধা দেয়। এসময় তাদের পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। তাদের চিৎকারে ভগ্নিপতি ফরিদ হোসেন ও বোন রেশমা আক্তার এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত মুকবিল হোসেন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করেন।

আহত মুকবিল হোসেন জানান, ৫০ বছর ধরে আমার বাবা জমিটি ভোগ দখল করে আসছেন। সম্প্রতি এ জমি জাকির হোসেন ও তার ভাইয়েরা দাবি করেন। জমির কাগজপত্র নিয়ে সালিশি বৈঠকে বসতে বললে তারা মানতে নারাজ। জোরপূর্বক দলবল নিয়ে জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে।

অভিযোগের বিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘সুরুজ মিয়া আমাদের জমিটি দখল করে রেখেছে।’ আপনার কাছে জমির কাগজপত্র রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো উত্তর দেননি তিনি।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, ‘একই পরিবারের চারজনের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি  অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’