অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ-পরিবহণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (কেএনএফ) উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যারা বিপথে গেছেন; তাদের অনুরোধ করব, যেহেতু কোনো লাভ হয়নি, আগামীতেও হবেনা। আপনারা আসুন, বসে আলাপ আলোচনা করি। আপনাদের সমস্যা থাকলে তা নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করব। কারণ এদেশ শুধু আমার নয়, আপনাদেরও। 

শুক্রবার দুপুরে বান্দরবান সদরে বৌদ্ধ অনাথালয় পরিদর্শন শেষে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি। 

উপদেষ্টা বলেন, আপনারা এখানে যুগযুগ ধরে বসবাস করছেন। আপনাদের সংস্কৃতি আচার-ব্যবহারকে দেশের সব মানুষ সম্মান করে। এটি ছোট খাটো সমস্যা। সরকার ও এই অঞ্চলের সিনিয়র ব্যক্তিদের নিয়ে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাধানে পৌঁছাতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলে একটা ল্যান্ডপোর্ট করা যায় কিনা, সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখতে হবে। যেটি রাখাইনের সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যকে যুক্ত করবে। 

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই অঞ্চলে জনগোষ্ঠীদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ ছিল। শান্ত পরিস্থিতি ছিল বান্দরবান জেলায়৷ আর সবচেয়ে বেশি সুন্দর ছিল রুমা উপজেলা। আমি আশ্চর্য হলাম হঠাৎ কেন আশান্ত হয়ে পড়ল। 

তিনি বলেন, সম্মলিতভাবে বসে ঘটনার মূলে যেতে হবে, কারণটা খুঁজে বের করতে হবে, কেন এমনটা হলো। শান্তভাবে পরিস্থিতি সমাধান করা প্রয়োজন। যারা পাহাড় সম্পর্কে জানেন, পাহাড়ের সংস্কৃতি আচার ব্যবহার পরিবেশ যাতে কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেভাবে আলাপ করতে হবে। 

এ সময় সেনাবাহিনীর বান্দরবান ৬৯ রিজিয়নের কর্মান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম রাকিব ইবনে রেজওয়ান, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার, বিএনপির সিনিয়র নেতা চহ্লা প্রু জিমি, বান্দরবান বৌদ্ধ অনাথালয়ের সভাপতি পঞঞানন্দ মহাথের, সমাজ সেবা বিভাগের উপ-পরিচালক মিলটন মহুরীসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।