নদীতে বাঁধের মতো ফাঁদ দিয়ে মাছ শিকার, বিপাকে জেলেরা
মো. আবু তাহের, দাগনভূঞা
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে ছোট ফেনী নদী। এ নদীর দাগনভূঞা অংশের বেশ কয়েকটি স্থানে কৃত্রিম বাঁধের মতো ফাঁদ দিয়ে মাছ শিকার করছে একটি চক্র। এতে করে বিপাকে পড়েছে জেলেরা। নদীতে গিয়েও কাঙ্ক্ষিত মাছ পাচ্ছে না তারা।
জেলেদের অভিযোগ, বাঁধের মতো ফাঁদ দিয়ে নদীর বিভিন্ন অংশে মাছ শিকার করা
হচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েও হচ্ছে না কোনো লাভ। এমনকি মাছ ধরতে তাদের নদীতে নামতেও
দেওয়া হচ্ছে না। দেওয়া হচ্ছে হুমকিও।
জানা গেছে, সদর উপজেলার জয়লস্কর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শেষ সীমানায়
এবং দক্ষিণ জায়লস্কর গ্রামের আশ্রায়ন প্রকল্প সংলগ্ন মুসা মাওলানার ঘাট এলাকায় নদীর
একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত বরাবর বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। সেই বেড়ায় বিছানো হয়েছে
জাল। এভাবে মাছ ধরছে স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল। স্থানীয় জেলেদের নদীতে মাছ ধরতে দিচ্ছেন
না তিনি। দিচ্ছেন হুমকিও।
মাছ ধরার বিষয়টি স্বীকার করলেও হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত
সোহেল।
ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা গত আগস্টে দেখেছিল ফেনীবাসী। সেই বন্যায়
ভেঙে যায় নোয়াখালীর মুছাপুর ক্লোজারের স্লুইসগেট। এ স্লুইসগেট দিয়ে ফেনী নদীর পানি
সাগরে নামতো। অন্যদিকে জোয়ারের পানি আটকাতো।
স্লুইসগেট ভেঙে যাওয়ায় বর্তমানে সাগরের পানি ফেনী নদীর বিভিন্ন অংশে
যায়। এতে করে ফেনী নদীতে বেড়েছে মাছের প্রার্দুভাব। তবে কৃত্রিম বাঁধের জেরে সেই মাছ
ধরতে পারছে হাতেগোনা কয়েকজন। বিপরীতে জেলেরা মাছ না পেয়ে কষ্টে দিনযাপন করছে।
নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহে বাধা ও বাঁধ তৈরি করে মাছ শিকারের বিষয়ে
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরণের কাজ
অবৈধ। যেহেতু বিষয়টি মৎস বিভাগের আওতাধীন তারা এটি দেখবে। মৎস বিভাগ এগিয়ে এলে আমরা
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করব।’
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
সহসায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।