সুষম প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয় এমন সংস্কার প্রয়োজন
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান

ফরিদপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম
-67a4e96ae0099.jpg)
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, গণমাধ্যমে এমন ধরনের সংস্কার প্রয়োজন যাতে একটি সুষম প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়। সুষম প্রতিযোগিতা তৈরি না হলে এই খাতে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে তা যাবে না। এজন্য আমরা দেশের গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে যেয়ে তাদের কথা শুনছি। তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে আগামী তিন মাসের মধ্যে আমরা সরকারের কাছে সেগুলো সুপারিশ আকারে তুলে ধরব।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের সাংবাদিক প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এ সময় কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষার দরকার আছে। ঢাকার বাইরে যারা কাজ করেন তাদের পেশাগত ঝুঁকি বেশি। শারীরিক ঝুঁকি বেশি, আর্থিক বঞ্চনা বেশি, আবার ভবিষ্যতটাও অনিশ্চয়তাপূর্ণ। সব বিষয়ে কাজ করতে হয় বলে তাদের প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে কাজ করে যেতে হয়। তাদের পেশাগত সুরক্ষা ও আর্থিক নিশ্চয়তার দরকার আছে।
এ সময় সাংবাদিকদের সুরক্ষায় একটি আলাদা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দরকার আছে উল্লেখ করে সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, বর্তমানে যেই প্রেস কাউন্সিল রয়েছে তা দিয়ে সেটি পূরণ করা সম্ভব নয়। এটিকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি দেশের অনলাইন পোর্টালের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে উল্লেখ করে বলেন, মানুষ এখন পকেটে করে নিউজ পোর্টাল নিয়ে ঘুরছে। সরকার একটি নীতিমালা করেছে। ২১২টি অনলাইন পোর্টালকে নিবন্ধন দিয়েছে। তবে বর্তমানে এর সংখ্যা হাজারেরও বেশি। আবার একই মিডিয়া হাউস থেকে একাধিক পত্রিকা ও টেলিভিশন বের হচ্ছে। ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষায় তারা একাধিক নামে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশন চালাচ্ছে। অথচ সব মিডিয়ার একই খবর প্রচার করছে। একই মালিকের খবর তারা দেখাচ্ছে। এর বাইরে যে ভিন্নমত রয়েছে তা জনগণ জানতে পারছে না।
সেমিনারে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য আখতার হোসেন খান ও বেগম কামরুন্নেসা হাসান, সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সেমিনারে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে এসব বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।