সাটুরিয়ায় বোরো ফলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মৌসুমের শুরুতে ভালো ফলনের আশায় বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এ মৌসুমে প্রায় ১ হাজার ৬৬৯ হেক্টর জমিতে বোরো রোপণ করেছেন উপজেলার কয়েক হাজার চাষি।
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রায় ৫ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো রোপণের জন্য মাঠপর্যায় কাজ করে যাচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে লক্ষ্য বাস্তবায়নে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় বোরো ফলনের লক্ষ্যমাত্রা খুব সহজেই পূরণ হবে বলে আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ১০৮ জাতের বোরো ধানের চারা রয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ৭ জাতের বোরো ধানের চারা রোপণ করেছেন চাষিরা। এর মধ্যে রয়েছে- ব্রি-ধান ২৫, ২৯, ৬৫, ৮৯, ৯২, ১০২ ও ১০৫। অনেকে আবার উপশী জাতের চেয়ে হাইব্রিড জাতের দিকে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন; কারণ এতে ফলন ভালো হয়। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের ঘাটতি না থাকায় সঠিক সময়ে জমি তৈরি করতে পারছেন চাষিরা। আগেভাগেই ডিপ টিউবওয়েল ও ডিজেল মেশিনের পাম্প বসিয়ে, পানি দিয়ে রুক্ষ জমিতে বোরো ধান রোপণ করছেন চাষিরা।
সরেজমিন দেখা যায়, সাটুরিয়া, হরগজ, তিল্লি, বালিয়াটি, ধানকোরা, দিঘলিয়া ইউনিয়নে পুরোদমে বোরের আবাদ শুরু করেছেন চাষিরা।
হরগজ ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার চাষি আল-আমিন মিয়া বলেন, প্রতি একরে বোরো ধান চাষে খরচ হয় ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আমার জমি আাছে ১২ শতাংশ। প্রতি বছরই আমি বোরো ধান বুনি। ভালোই লাভ হয়; তাই এবারো বোরে ধান লাগাব; কিন্তু সারের দামটা বেশি। কম হলে ভালো হতো। খরচটা বেশি হয়ে যায়।
একই ইউনিয়নের চাষি শহীদুর রহমান বলেন, আমি ১০ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে বোরো ধান চাষ করছি। গতবার মোটামুটি ভালোই লাভ হয়েছে। তাই এবারও বোরো ধান চাষ করব। তবে সারের দামটা একটু কম থাকলে লাভ আরেকটু বেশি হতো। পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ, মেশিন দিয়ে পানি দিয়ে জমি তৈরি করতে অনেক খরচ হয়ে যায়। কামলা দিয়া চারা বুনি সেই কামলার মজুরিও অনেক। তারপরও আশা করি গেছে বারের চেয়ে আরও ভালো ফলন হবে।
সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বছর আমরা পুরো উপজেলায় ৫ হাজার ৩৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কঠোর শ্রম দিচ্ছেন। দৈনিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধা আমরা শুনছি এবং সার্বিক সহায়তা দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া ঠিক থাকলে আগের থেকে ভালো ফলন আশা করা যায়। আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা তা খুব সহজেই পূরণ হবে।
