সারা দেশে ২য় দিনের মতো ফল আমদানি বন্ধ
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
![সারা দেশে ২য় দিনের মতো ফল আমদানি বন্ধ](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/05/Frutse-py-67a3834210dce.jpg)
ফাইল ছবি
অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে বেনাপোলসহ সারা দেশের শুল্ক স্টেশন দিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বুধবার সকাল থেকেই দ্বিতীয় দিনের মতো ফল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানিকারকরা।
বন্দর ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে যেসব খাদ্যদ্রব্য আমদানি
হয় তার অধিকাংশই ফল। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আগে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আদায় করত। এতে কেজিপ্রতি
ফলে সরকারকে ১০১ টাকা রাজস্ব দিতে হতো। হঠাৎ করে গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের
(এনবিআর) নতুন এক নির্দেশনায় ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ
নির্ধারণ করে। ফলে বর্তমানে কেজিপ্রতি শুল্ককর ১৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা। ফলে
আমদানি খরচ বাড়ায় দাম বাড়িয়েছেন খোলাবাজারের বিক্রেতারা।
বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতোমধ্যে শুল্ককর বৃদ্ধিতে বাজারে কেজিতে
ফলের দাম বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত। আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলে আগামীতে ফলের বাজার
আরও ঊর্ধ্বগতির আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে যশোরের বেনাপোল ও নাভারণ খুচরা বাজারে এক কেজি আপেল
প্রকারভেদে ৩০০-৩৬০ টাকা, মালটা কেজি ৩০০-৩২০ টাকা, কমলা ২৫০-৩০০ টাকা এবং আঙুর প্রকার
ভেদে ৪৫০-৫০০ টাকা, ডালিম ৪৫০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বেনাপোল বাজারের ফল বিক্রেতা গফফার বলেন, মোকাম থেকে বেশি দামে ফল কিনতে
হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
রমজান মাস শুরুর আগে ফলের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
ক্রেতা জামাল হোসেন বলেন, রমজানের আগেই দাম বৃদ্ধি ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। এ সিদ্ধান্ত
কম আয়ের মানুষের ওপর চাপ পড়ে যাবে।
বন্দর শ্রমিক সবুজ মিয়া বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১শ ট্রাক
ফল আমদানি হতো। এখন বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন।
ফল আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী
ফল আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। তারা বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো ফল আমদানি করছেন না।
বেনাপোল বন্দর ওয়ারহাউজ সুপারেন্টেন্ড তানজিবুর রহমান বলেন, ফল ব্যবসায়ীদের
ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব আয় কমেছে। ধর্মঘটে
দুই দিন ফল আমদানি বন্ধে বেনাপোল বন্দর থেকে সরকার প্রায় ১শ কোটি টাকা টাকার রাজস্ব
হারাবে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন,
বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দিন ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার না করলে
ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ রাখবে।