ভৈরবে শিশুর মারামারি কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত ১৫
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
![ভৈরবে শিশুর মারামারি কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত ১৫](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/04/kishoreganj-672e204a4b5e3-67a22a4be4558.jpg)
ভৈরবে দুই শিশুর মারামারিকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাঙচুরসহ ১৫ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার ও রোববার দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সোমবার তৃতীয় দফায় সংঘর্ষ হলে খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সোমবার রাত ১০টার দিকে পৌর শহরের জগন্নাথপুর কমলার মোড় টিটি রোড এলাকার মিঠুরি বাড়ি ও বৈচারমার বাড়ির মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলো- মিঠুরির বাড়ির শিপন মিয়া, সুলতান মিয়া, অনিক, তোফাজ্জল ও বৈচার মার বাড়ির ফারুক মিয়া, বাবুনি বেগম, আরাফাত মিয়া ও বিজয় মিয়া।
এদের মধ্যে ফারুক মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বিজয় মিয়া বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়াও অনেকে আহত হয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার শহরের জগন্নাথপুর এলাকার মিঠুরির বাড়ির মগল মিয়ার ছেলে আলী হোসেনের সঙ্গে বৈচার মার বাড়ির নিমন মিয়ার ছেলে সিয়ামের মারামারি হয়। দুইজনই শিশু। তারা স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে দুইপক্ষের লোকজন মীমাংসা করতে গেলে বাগবিতণ্ডার এক ফাঁকে মারামারি হলে মুহূর্তেই ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরদিন রোববার আবারও রাতে সংঘর্ষ হয়।
এতে বৈচার মার বাড়ির ফারুক মিয়া ও বিজয় গুরুতর আহতসহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। এ সময় ১০-১২টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সোমবার রাতে তৃতীয় দফায় ধাওয়া পালটাধাওয়া হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মিঠুরি বাড়ির পক্ষের শিপন মিয়া বলেন, মিঠুরির বাড়ির মৃত মগল মিয়ার এতিম ছেলে আলী হোসেনকে বৈচার বাড়ির ছেলেরা মারধর করে। আমি ও আমার ছেলে শিশুটিকে বাঁচিয়ে আনতে গেলে আমাকেও মারধর করে বৈচার মার বাড়ির লোকজন। পরে ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
বৈচার মার বাড়ির খোকন মিয়া বলেন, শিশুরা মারামারি করেছে। মিঠুরির বাড়ির লোকজন আমাদের বাড়িতে এসে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। আমার ছোট ভাই মোরাদ তাদের মারধরের কারণে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিওতে রয়েছে।
এছাড়া আমার বাড়ির আরেক ছোট ভাই বিজয় বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথপুর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।