মঠবাড়িয়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে বিএনপির মানববন্ধন

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২১ পিএম

ফাইল ছবি
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আবু সালেহর বিরুদ্ধে অনলাইন পেইজে মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও আটক আওয়ামী লীগ নেতাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। তবে পুলিশ জানায়, কাউকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বেতমোর বাজারে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ সময় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা পান্না মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক জসিম উদ্দিন ফরাজি, উপজেলা বিএনপি নেতা শামস শওকত, মাহবুবুর ইসলাম নান্না, যুবদল নেতা ওলিউল ইসলাম রিপন মাতুব্বর, জাহাঙ্গীর হোসেন বাদল, ছাত্রদল নেতা রিযাজ উদ্দিন, ইউনয়ন যুবদল নেতা হাফিজ খান, নুরুজ্জামান পাত্তর, ছাত্রদল নেতা আবু হানিফ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এমাদুল হককে দস্যু প্রকৃতির লোক আখ্যা দিয়ে স্থানীয় জনতা আটক করে গত রোববার পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাকে ছাড়িয়ে নিতে উপজেলা বিএনপি নেতা আবু বকর সিদ্দিক বাদল ও পৌর যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদ (আবু মাস্টার) সুপারিশ করেন বলে দাবি করেন। পরে থানা পুলিশ এমাদুল হককে ছেড়ে দেন।
অপরদিকে এমাদুল হক ছাড়া পেয়ে ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু সালেহ’র কাছে চাঁদা দাবি করেছে বলে স্থানীয় দুই আনলাইন পেইজে বিবৃতি দেন। এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আব্দুল হালিমের কড়া সমালোচনা ও আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার অপসারণের দাবি করেন।
পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালম আজাদ (আবু মাস্টার) তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এমাদুল হকের পক্ষে কোনো প্রকার সুপারিশের প্রমাণ পেলে আমি শাস্তি গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু বকর সিদ্দিক বাদল বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়ার ব্যাপারে সুপারিশের প্রশ্নই আসে না। রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কারণে আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।
মঠবাড়িয়া থানার (ওসি তদন্ত) আব্দুল হালিম বলেন, অসুস্থতার কারণে এমাদুল হককে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।