গাইবান্ধায় স্বৈরাচারের দোসর সুইট-সুজার বিরুদ্ধে মানববন্ধন
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
![গাইবান্ধায় স্বৈরাচারের দোসর সুইট-সুজার বিরুদ্ধে মানববন্ধন](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/04/Saghata-67a1d48d4d072.jpg)
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভূমিদস্যু স্বৈরাচারের দোসর আওয়ামী লীগ নেতা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইট ও তার সন্ত্রাসী সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধায় ডিসি অফিসের সামনে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ জনগণ।
সোমবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেন সাঘাটা উপজেলার বিক্ষুব্ধ জনগণ। এ সময় অভিযুক্ত ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন সুইট ও তার ছোট ভাই সুজাউদ্দৌলা সুজা এবং সহযোগীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সাঘাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির, মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরশাদ আজিজ রোকন, অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য আলমগীর হোসেন, ইউপি সদস্য গোলাম ব্যাপারি, সাবেক ইউপি সদস্য সফর আলী, জাহিদ হোসেন, জুয়েল রানা, সোহাগ মিয়াসহ অনেকেই।
বক্তরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সন্ত্রাসী দিয়ে ঢাকা ও গাইবান্ধায় ছাত্রদের ওপর হামলায় জড়িত ছিলেন সাঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইট ও তার ভাই সুজাউদদৌলা সুজাসহ তার পালিত সন্ত্রাসীরা। গণঅভ্যুত্থানের পর তারা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করে এতে নিজেদের হামলায় নিহত হয় তাদের দুই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী। পরে এ হত্যাকাণ্ড ভিন্নভাবে প্রবাহিত করতে সেনা সদস্য ও স্থানীয় জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়।
বক্তারা আরও বলেন, সুইট-সুজা নিজেদের অবৈধ সম্পদ রক্ষা ও নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে কখনো জাতীয় পার্টি আবার কখনও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। প্রায় দুইশ সদস্যের সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তাদের অত্যাচারে পুরো উপজেলাবাসী অতিষ্ঠ। সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাঘাটা-ফুলছড়ির সাবেক সাংসদ মাহমুদ হাসান রিপনকে তারা ক্ষমতার প্রধান উৎস হিসেবে ব্যবহার করতেন।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ থেকে দলটির নেতাকর্মীরা প্রায় বিলুপ্ত হলেও সাঘাটায় ওদের দাপট বিন্দুমাত্র কমেনি সুইটের। শুধু তাই নয়, যমুনা নদী বেষ্টিত ২০টি চর দখল করে প্রতিদিন অবৈধভাবে প্রায় ১০ লাখ টাকার বালু উত্তোলন করে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। তার ভয়ে সাধারণ জনগণ কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারে না।
মানববন্ধন শেষে মোশাররফ হোসেন সুইট ও তার ভাই সুজাউদ্দৌলা সুজা এবং সন্ত্রাসী বাহিনীকে অবিলম্বে গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক বিচারের জন্য গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, সেনাবাহিনী ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।