সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে তরিক উদ্দিন নামে এক কিশোরের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মিয়ানমারে পণ্য ও গরু আনতে গেলে সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী সীমান্তের শূন্যরেখায় সেখানকার বিদ্রোহীদের পুঁতে রাখা মাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত আলী তরিক উদ্দিন (১৮) রামুর মহিষকুম গ্রামের আহমদ রশিদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, তরিক উদ্দিনসহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে চোরাকারবারের অভিযোগ রয়েছে। তারা সীমান্তের ৪৮নং সীমান্ত পিলারের কাছে গেলে বিকট শব্দে মাইন বিস্ফোরিত হয়। পরে সঙ্গে থাকা লোকজন আহত তরিক উদ্দিনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানান, মাইন বিস্ফোরণে তরিক উদ্দিন নামের একজনের আহত হওয়ার খবর শুনেছি। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছেন।
স্থানীয়রা আরও জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের জন্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের পাচার বেড়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া বাজার থেকে এসব মালামাল পাচারের পাশাপাশি ওপার থেকে আসছে ইয়াবাসহ অবৈধ গরু।
প্রতিদিন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ফুলতলী, আশারতলী জামছড়ি, চাকঢালা, লেমুছড়ি, ঘুমধুম ও তুমব্রু এলাকা দিয়ে লাখ লাখ টাকার মালামাল পাচার হচ্ছে মিয়ানমারে। এর সঙ্গে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা এসব কাজে জড়িত। ইদানিং চোরাকারবারিরা প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট মজবুত করেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির সূত্রে জানা যায়, বিজিবির তৎপরতায় চোরাকারবারিরা প্রধান রুট ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিকল্প পথ বেছে নিচ্ছে, সেখানে মাইন বিস্ফোরণের শিকার হচ্ছে।