প্রতিবেশীর হাতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় নিখোঁজের আটদিন পর এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিবেশীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলা চেচুয়ার পানিগড়িয়া এলাকার একটি সরিষা খেতের পাশে পুঁতে রাখা বস্তাভর্তি লাশ উদ্ধার করা হয়।
রিফাত (১২) উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নের মির্জাকান্দা এলাকার মফিজুল ইসলামের
ছেলে। সে স্থানীয় কাতলসা শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো।
স্থানীয় এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্কুলপড়ুয়া
রিফাত পরিবারের অভাব ঘুচাতে লেখাপড়ার পাশাপাশি ভ্যান চালাতো। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি
বিকালে তাকে ফোন দেয় পাশের গ্রামের মনির। সাউন্ড বক্স আনতে হবে জানিয়ে তাকে ভ্যান নিয়ে
আসতে বলে। এরপর থেকে রিফাতের খোঁজ মিলছিল না।
এ ঘটনায় মুক্তাগাছা থানায় জিডি করেন রিফাতে বাবা। নিখোঁজের আটদিন পর
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের প্রতিবেশি মিরাজকে গ্রেফতার করে
পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সরিষা খেতের পাশেই পুঁতে রাখা রিফাতের বস্তাভর্তি
উদ্ধার করে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পুলিশের ধারণা, ভ্যান ছিনতাই করতেই রিফাতকে গলা কেটে হত্যা
করা হয়েছে।
নিহতের ভাই আরিফ হোসেন বলেন, ‘মনিরকে গ্রেফতার করা হলে সব রহস্য বেরিয়ে
আসবে। আমি শুধুমাত্র আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’
স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, ‘রিফাতের পরিবার খুবই গরিব। তার মৃত্যু মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। প্রতিবেশী হয়ে একটি ভ্যানের জন্য মানুষ কীভাবে হত্যা করতে পারে।’
রিফাতের মৃত্যুতে তার মা আনোয়ারা খাতুন বর্তমানে পাগলপ্রায়। কথা বলতে
গেলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন তিনি।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, ভ্যান ছিনতাই করতেই রিফাতকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’