বিশ্বখ্যাত টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) র‌্যাঙ্কিং ২০২৫-এ লাইফ সায়েন্স ক্যাটাগরিতে দেশের সব পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি) প্রথমস্থান অর্জন করেছে। এ উপলক্ষ্যে নানান বর্ণিল কর্মসূচিতে উদযাপিত হয়েছে ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। 

শনিবার সকাল থেকে নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান।

সভাপতিত্ব করেন বশেমুরকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। 

কর্মসূচিতে ছিল- সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন। এরপর শান্তির প্রতীক কবুতর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ বছরের ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ২৭টি বেলুন উড়ানো হয়। পরে প্রশাসনিক ভবন চত্বর থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি অনুষদের শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে অঙ্কিত ব্যানার, ফেস্টুন ও পেইন্টিং নিয়ে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে কৃষি অনুষদ ভবন চত্বরে সমাপ্ত হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কৃষি অনুষদের নিচতলায় ফ্যাকাল্টিগুলো উদ্ভাবিত নানা প্রযুক্তি ও জাত প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা।

আলোচনার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অর্জন ও বিশেষত্ব নিয়ে একটি মনোমুগ্ধকর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। বিশেষ অতিথি ড. মো. নাজমুল করিম খান তার বক্তৃতায় যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সনদ দেওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, বশেমুরকৃবি শুধু টিএইচই র‌্যাঙ্কিংয়েই প্রথম হয়নি বরং উরি এবং সিমাগো র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথমস্থান অর্জন করেছে। বিগত তিন বছরে এপিএতে (অ্যানুয়াল পারফর্মেন্স এগ্রিমেন্ট) প্রথম হয়েছে বলেও ভিসি আলোকপাত করেন। ভবিষ্যতে এ বিশ্ববিদ্যালকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শীর্ষ ১০০-২০০তম স্থানে নিয়ে আসার জন্য যা যা করণীয় সবকিছুই করা হবে বলে উপাচার্য দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অসামান্য এ অর্জনের জন্য ভিসি বশেমুরকৃবির সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

অন্যদিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিদ্দিক জোবায়ের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএইচই র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথম হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্যের একপর্যায়ে সিনিয়র সচিব বলেন, প্রত্যেকের শপথ হওয়া উচিত, যার যে দায়িত্ব শতভাগ পালন করা। বশেমুরকৃবিকে বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, বশেমুরকৃবি দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে একাডেমিক ক্যালেন্ডার পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ করা হয়। তবে জাতীয়ভাবে প্রকৃত তথ্য প্রয়োজন বিধায় যেকোনো প্রয়োজনে শিক্ষা বিভাগ বশেমুরকৃবির শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনে তৎপর ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বস্ত করেন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম ময়নুল হক, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ এবং রেজিস্ট্রার মো. আবদুল্লাহ্ মৃধা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দিনব্যাপী বর্ণিল এ দিবসে বিকালে শিক্ষার্থীদের ফ্ল্যাশ মুভ এবং সন্ধ্যার পর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।