Logo
Logo
×

সারাদেশ

মানিকগঞ্জ জেলা কারাগার

হাজতিকে পেটানোর অভিযোগ তিন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১২ এএম

হাজতিকে পেটানোর অভিযোগ তিন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে

ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে হত্যা মামলার এক হাজতিকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে তিন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে। কারাগারের ক্যান্টিনে ফলের দাম নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় ওই আসামিকে পেটানো হয়। পরে কয়েক দফা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হলেও পুরো ঘটনা ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে গোপন রাখার অভিযোগ কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জেল সুপার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খান বলছেন, অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, মঙ্গলবার কারারক্ষীদের হাতে মারাÍক নির্যাতনের শিকার রাজু মন্ডল নামের এ হত্যা মামলার আসামিকে কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে আনা হয়। এর আগেও কয়েক দফা তাকে আনা হয়েছিল।  

এর আগে ২ জানুয়ারি বিকালে কারাগারের ভেতর ফলের দাম নিয়ে সিংগাইর থানার আসামি রাজু মন্ডলের সঙ্গে ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা দুই কারারক্ষীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে রাজুকে পেটান কারারক্ষী রফিকুল ইসলাম ও কহিনুর। তাদের সঙ্গে যোগ দেন জাহিদ হোসেন নামের আরেক কারারক্ষী। তিন কারারক্ষীর পিটুনিতে মারাÍক আহত হন রাজু। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে কারা হাসপাতাল পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা  মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

রাজুর বাবা পলাশ মন্ডলের অভিযোগ, রাজুকে শারীরিক নির্যাতন করার পর কারা কর্তৃপক্ষ গোপন রেখেছেন। নির্যাতনের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, সে আদালতে হাজিরা দিতে আসতে পারেনি। অন্য আসামিদের কাছে ঘটনা জানতে পেরে তিনি কারাগারে ছুটে গিয়ে ছেলেকে আহত অবস্থায় পান। পরে সন্তানের ওপর কারারক্ষীর এ ধরনের নির্যাতনের কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। 

মানিকগঞ্জ জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী জামিলুর রশিদ খান বলেন, এ ধরনের ঘটনা মানবাধিকর লঙ্ঘন। পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেজন্য জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তার। 

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক এবিএম তৌহিদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, কয়েকবার রাজুকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। 

কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনের মধ্যে জাহিদ ও রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম