জমি নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১২ পিএম

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সেনাসদস্য (অব.) রুহুল আমিন (৪৫)।
একই ঘটনায় আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুজন। শনিবার রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবারের লোকজন।
রুহুল আমিন এবং আহত জাকির (৪৭) ও রতন মিয়া (৪০) ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সেনাসদস্য রুহুল আমিনের বাবা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী মণ্ডলের সঙ্গে একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম মধুর জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল।
গত সোমবার দুপুরে ধানের জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ মধু মেম্বারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আনছার আলীর তিন ছেলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন সেনা সদস্য রুহুল আমিন, পুলিশ সদস্য জাকির হোসেন ও রতন মিয়া।
স্থানীয়রা তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সেনাসদস্য রুহুল আমিনকে রংপুর সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরের দিকে তিনি মারা যান।
ফুলছড়ি থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা আনছার আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার মূল আসামি আব্দুর রহিম মধু মেম্বারসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।