চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারি
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০১ পিএম
রাউজানে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করতে এসে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বিএনপির দুইপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার বিকাল তিনটার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের দুই গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মারামারিতে জড়িতরা বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করতে এলে গিয়াস কাদেরের অনুসারীরা বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়।
রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে রাউজানের সাধারণ জনগণ স্বাধীনভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেননি। বাক-স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে রাউজানবাসী জিম্মি অবস্থায় ছিল। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছিল। কিন্তু দেখা যায়, রাউজানে বিএনপির একটি পক্ষ যারা দীর্ঘ সময় এলাকায় ছিল না, তারাই পতিত আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে পুরনো কায়দায় এলাকায় চাঁদাবাজি শুরু করেছে। বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটতরাজ, খুন-রাহাজানিতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। ৫ আগস্ট রাউজান থানায় হামলা করে কারা অস্ত্র লুট করেছে তাও প্রশাসন ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অজানা নয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাউজানের ৪৮টি ইটভাটা থেকে ২ লাখ টাকা করে প্রায় কোটি টাকা চাঁদা তুলে কারা কার হাতে তুলে দিয়েছেন তা অনেকেই জানে। রাঙ্গামাটি থেকে চট্টগ্রামগামী কাঠ বোঝাই প্রতিটি ট্রাক থেকে বন বিভাগের মাধ্যমে ৩০০ টাকা করে আদায় করা চাঁদা কার কাছে যায়, গহিরা, রাউজান মুন্সিরঘাটা, নোয়াপাড়া এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও লোকজনের কাছ থেকে চাঁদাবাজির কোটি কোটি টাকা কোথায় গিয়েছে প্রশাসন জানলেও তা জনগণ জানতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাউজান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও রাউজান পৌরসভা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ইফতেকার উদ্দিন খান।