Logo
Logo
×

সারাদেশ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নেওয়ার পর যুবদল আহ্বায়কের মৃত্যু

Icon

কুমিল্লা ব্যুরো

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নেওয়ার পর যুবদল আহ্বায়কের মৃত্যু

কুমিল্লায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নেওয়ার পর তৌহিদুল ইসলাম নামে এক ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়কের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

তৌহিদ ইটাল্লা গ্রামের মোখলেছুর রহমান সরদারের ছেলে। তিনি জেলার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন ও একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন।

গত ২৬ জানুয়ারি তৌহিদুল ইসলামের বাবা মারা যান। শুক্রবার ছিল তার বাবার কুলখানি।

তৌহিদুলের ভাই আবুল কালাম আজাদ টিপু বলেন, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি আমার ভাইকে ধরে নিয়ে যায়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় আমার ভাইসহ আরেকজনকে নিয়ে এসে এক ঘণ্টা যাবত বাড়ির বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালায়। পরে কোনো অস্ত্র না পেয়ে আমার ভাইকে আবারও তারা নিয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ আমাদের ফোন করে বলে- গোমতী বিলাসের কাছে আমার ভাই আহত অবস্থায় পড়ে আছে; আপনারা হসপিটালে আসেন, আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা প্রথমে কুমিল্লা সদর জেনারেল হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাই। চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে রেফার করেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, জমি নিয়ে পাশের বাড়ির তানজিল ইসলামের সঙ্গে ৪-৫ দিন আগে আমাদের ঝামেলা হয়েছিল। এ নিয়ে তারা যৌথবাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন। 

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, তৌহিদুল ইসলাম খুব ভালো ছেলে। ধার্মিক ছিল। পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের কারণে তার পাশের বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেন। এ কারণে তাকে গ্রেফতারের পর নির্যাতন করা হয়েছে। তৌহিদুল ইসলামের লাশের ওপর নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক বলেন, তৌহিদুলের নামে থানায় কোনো মামলা নেই। তার দুই মেয়ে হাফেজ। এভাবে একজন ভালো ছেলের মৃত্যুর ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন, হাসপাতালে আনার পরপরই তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, যৌথবাহিনীর টেলিফোন পেয়ে আহত অবস্থায় তাকে গোমতী নদীর তীরের গোমতী বিলাসের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে। এর চেয়ে বেশি আর কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আমরা কিছু বলতে পারছি না। কারণ আমরা তাকে আটক কিংবা গ্রেফতার করিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইফুল মালিক বলেন, ওই যুবদল নেতার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম