যশোরে গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ হানিফ (৫০) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শুক্রবার সকালে তার লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত হানিফের স্ত্রী শিরিন জানান, ঢাকা মেডিকেলে তার বড় একটি অপারেশন করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ২টায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে আইসিইউতে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এমন সময় হানিফ মারা যান।
তিনি আরও জানান, বুধবার সকালে বারবার হানিফকে কল করেছিল জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল। একপর্যায়ে টুটুলের বাড়ির উদ্দেশ্য বের হন। রাতে জানতে পারেন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন হানিফ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। চেয়ারম্যান টুটুলকে আটক করলেই বিস্তারিত জানা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হানিফকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল। এরপরই তিনি পালিয়ে যান। এ সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন গুলিবিদ্ধ হানিফ। তিনি একেক সময় একেক রকম তথ্য দিতে থাকেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়।