বনবিভাগ-গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১২
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৬ পিএম
উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে বন বিভাগ ও গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘাটাইল সদর থেকে ২৫ কিমি দূরে আষাড়িয়া চালার দিগুলিয়া চালা নামক স্থানে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
এতে উভয়পক্ষের ১২ জন আহত হন। এদের মধ্যে ধলাপাড়া রেঞ্জ অফিসের সদর বিটের বিট কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হচ্ছেন- ধলাপাড়া সদর বিট অফিসার আ. কদ্দুছ, ফরেস্ট গার্ড যথাক্রমে আশরাফুল ইসলাম, মাসুদ, শরিফ মিয়া।
অন্যদিকে ঘাটাইল হাসপাতালে ভর্তিরা হচ্ছেন- ফরেস্ট গার্ড জাহাঙ্গীর, ফরেস্ট গার্ড গালিভ, ফরেস্ট গার্ড আবু বকর ও মালি হান্নান। এছাড়া আহত ২ মাদ্রাসাছাত্র প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ কাজ চলাকালে ধলাপাড়া সদর বন বিটের ফরেস্টার আব্দুল কদ্দুসের নেতৃত্বে বন বিভাগের ৮ জন স্টাফ নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য যান।
খবর পেয়ে গ্রামবাসী মাইকে ঘোষণা দিলে এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে বন বিভাগের স্টাফের ওপর হামলা করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা বনবিভাগের হাতে থাকা একটি চায়না রাইফেল ও একটি শর্টগান ছিনিয়ে নেয়।
খবর পেয়ে ঘাটাইল থানা ওসি রকিবুল ইসলাম, তদন্ত কর্মকর্তা সজল খান, ধলাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক রুবেল মিয়াসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে বন বিভাগের সদস্যসহ ছিনিয়ে নেওয়া অগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসিল্যান্ড সাবরিনা আক্তার।
গ্রামের ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, দিগুলিয়া চালা মাদিনাতুল উলুম রহমানিয়া মাদ্রাসার নির্মাণের কাজ চলছে ৩ মাস আগে থেকে। নির্মাণের সময় বনবিভাগকে লক্ষাধিক টাকা দেওয়া হয়। এর পরেও মাঝে মধ্যেই টাকা নেন। তারা নির্মাণের মৌখিক অনুমতি নিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নির্মাণাধীন সেই ভবন উচ্ছেদ করতে গিয়ে মাদ্রাসার হেফজখানার কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করেন। এজন্য জনরোষের শিকার হন তারা।
জানতে চাইলে ঘাটাইল থানার ওসি রকিবুল ইসলাম বলেন, উচ্ছেদ করতে গিয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তারা জনরোষের শিকার হন। খবর পেয়ে আমরা তাদের উদ্ধার করি।