যে কারণে স্ত্রীর হাত কেটে প্রতিশোধ নিলেন স্বামী
যুগান্তর প্রতিবেদন, ঢাকা উত্তর
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৮ এএম
পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার ক্ষোভে সাভারের আশুলিয়ায় স্ত্রীর ডান হাত কেটে দ্বি-খণ্ডিত করেছে ফিরোজ মিয়া (২৮) নামে এক যুবক। এ ঘটনায় ফিরোজকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়ে পুলিশ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ওসি নূর আলম সিদ্দিক।
এর আগে গত সোমবার ধামসোনা ইউনিয়নের গাজীরচট এলাকার সেলিম মিয়ার বাসায় এ ঘটনা ঘটে। হাত কেটে ফেলাকালে স্ত্রী জাকিয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে তার স্বামী ফিরোজকে আটকে রেখে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে জাকিয়ার বাবা জামিল বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ ফিরোজকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত জাকিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
অভিযুক্ত ফিরোজের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ী গ্রামে। তিনি রাজবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে। তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম (২৫) একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী এলাকার জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।
স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১৬ এপ্রিল রাতে পরকীয়ার সন্দেহে জাকিয়া তার স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলে। পরে ভুক্তভোগী ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে জাকিয়ার বিরুদ্ধে ভূয়াপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ জাকিয়াকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
এরপর কিছুদিন পর জাকিয়া জামিন পেয়ে আশুলিয়া এলাকায় একটি পোশাক-কারখানায় চাকরি নেন। স্ত্রীর চাকরির সংবাদ পেয়ে প্রতিশোধের নেশায় জাকিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং পুনরায় আশুলিয়া গাজীরচট এলাকার সেলিম মিয়ার বাসা ভাড়া নিয়ে ঘর সংসার শুরু করে। এরপর সুযোগ বুঝে দুই দিন আগে তার যৌনাঙ্গ কাটার প্রতিশোধ নিতে জাকিয়ার ডান হাত কেটে দ্বি-খন্ড করে এবং তার বাম হাতেও আঘাত করে কাটার চেষ্টা করে। এ সময় জাকিয়ার চিৎকার শুনে বাসার আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার স্বামীকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ফিরোজকে গ্রেফতার করে। ফিরোজ ও জাকিয়ার সংসারে ৩ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জনতার হাতে আটক হওয়া জাকিয়ার স্বামী ফিরোজকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জাকিয়ার বাবা বাদী হয়ে ফিরোজের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।