রাঙামাটিতে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন
‘পার্বত্য এলাকায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার সুপারিশ করা হবে’
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০০ পিএম
সব বৈষম্য দূর করে পার্বত্য এলাকায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্যরা।
বুধবার রাঙামাটিতে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার বিষয়ে বিভিন্ন স্তরের অংশীজনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ে কমিশনের সদস্যরা এ কথা বলেন।
সকালে সিভিল সার্জন অফিস, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের কর্মকর্তা এবং বিকাল ২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কমিশন সদস্যরা।
ড. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে এ কমিশনের ৭ সদস্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, ডা. নায়লা জামান খান, ডা. মোজাহেরুল হক, ডা. আজহারুল ইসলাম খান, ডা. সৈয়দ আতিকুল হক ও ড. আহমেদ এহসানুল রহমান।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানে ড. জাকির হোসেন বলেন, সমতলের মতো পার্বত্য এলাকায় স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত সুবিধা নেই। এখন বিষয়গুলোর সংস্কারের জন্য সুপারিশ নিয়ে কাজ করছি। সংস্কারের অর্থই পরিবর্তন। পরিবর্তনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই। স্বাস্থ্য বহুমাত্রিক বিষয়। সবাই মিলে একত্রে কিভাবে স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি করা যায়, তা নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সব বৈষম্য দূর করে পাহাড়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার সুপারিশ করব আমরা।
কমিশনের সদস্যরা বলেন, পার্বত্য এলাকায় চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা থাকতে চান না। দুর্গমতার কারণে এখানে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায় না। রোগীদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা সেবার ব্যাঘাত ঘটে। নৌপথে অ্যাম্বুলেন্সের সমস্যাসহ বহুবিধ সংকট বিদ্যমান। এসব সংকট থেকে উত্তরণের জন্য এখানকার সবার মতামত নিয়ে সুপারিশ করা হবে। তারা পার্বত্য এলাকার স্বাস্থ্য খাত ব্যবস্থাপনার বিষয়টি পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদে ন্যস্ত করার বিষয়েও উপস্থিত অংশীজনের কাছ থেকে মতামত জানতে চেয়েছেন। এছাড়া রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সংকট নিরসনে শিগগিরই স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণসহ বিদ্যমান সমস্যা সমাধান নিয়ে গুরুত্বসহকারে সুপারিশ করা হবে বলেও জানান কমিশনের সদস্যরা।
সভায় উপস্থিত অংশীজনদের মধ্যে জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসাসহ বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।
এ সময় জেলার স্বাস্থ্য খাত ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার বিষয় তুলে ধরে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিরসনে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করার অনুরোধ জানান তারা।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা তিন পার্বত্য জেলার মানুষের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দাবিগুলো উচ্চস্তরে পাঠাতে চাই। এখানে বহু হাসপাতাল চলে একজন চিকিৎসক দিয়ে। চিকিৎসকদের আবাসন ব্যবস্থা নেই, হাসপাতালে নৈরাজ্য অনেক সমস্যা। এভাবে তো সম্ভব না। তাই উত্তরণ জরুরি।