১৫ কোটি টাকা নিয়ে উধাও ‘ইয়েস’
যুগান্তর প্রতিবেদন, টাঙ্গাইল
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১২ পিএম
টাঙ্গাইল শহরের সবুজবাগ বাগানবাড়ীতে অবস্থিত ইয়ং ইকোনমিক সোসাইটি (ইয়েস) নামক একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রাহকদের আমানতের প্রায় ১৫ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে।
এমনকি,
ওই সংস্থায় চাকরিরতদের বেতন না দিয়েই
পালিয়ে গেছে। নিয়ে গেছে তাদের
আমানতও।
এ অভিযোগে বুধবার বিকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
সংবাদ সম্মেলনে ওই সংস্থার বাগানবাড়ী শাখার সাবেক হিসাবরক্ষক ও আমানতকারী নিতাই চন্দ্র রায় জানান, ইয়েসের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন নেন। ২০২০ সালে সংস্থার কার্যক্রম চালু করে। পর্যায়ক্রমে সংস্থাটি ৯টি শাখার মাধ্যমে আমানত সংগ্রহ শুরু করে। মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ১৫ কোটি টাকা আমানত ও সঞ্চয় সংগ্রহ করে তারা।
চলতি বছরের শুরুতে আমানতকারীদের জমানো টাকা ফেরত না দিয়ে সবকটি শাখার কার্যক্রম বন্ধ করে পালিয়ে যান আনোয়ার হোসেন। কোনো কোনো গ্রাহক তার দেখা পেলেও টাকা ফেরত দেওয়ার তারিখ দিয়ে তিনি আবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
লিখিত
বক্তব্যে নিতাই চন্দ্র জানান, ইয়েস নামক এনজিওতে
যাদের চাকুরি হয়েছে তারাও আমানত রেখেছেন। ২০২১ থেকে ২০২৪
সালের জুন মাস পর্যন্ত
আমানতকারীদের লাভের অংশ পরিশোধ করা
হতো। এরপর আমানতকারীরা জমাকৃত
টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য
চাপ দিলে চলতি বছরের
শুরুতে হঠাৎ সবকটি শাখা
বন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে
যান আনোয়ার হোসেন।
সংবাদ
সম্মেলনে জমাকৃত টাকা ফেরত পেতে
আমানতকারীরা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইলের সালমা পারভীন, নাসরিন সুলতানা, ইয়াছমিন আক্তার স্মৃতি, হাসনা আক্তার, রীতা রাণী সরকার, আমিনা আক্তার, বিথী আক্তার, বিউটি আক্তার, মনোরঞ্জন সরকার, মলিনা বসাকসহ ২৫ জনের বেশি আমানতকারী উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের
বিষয়ে জানতে আনোয়ার হোসেনের মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলে
নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।