Logo
Logo
×

সারাদেশ

উপজেলা যুবদল নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

Icon

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম

উপজেলা যুবদল নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

রাঙামাটির লংগদু উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সৈয়দ মুহাম্মদ ইউনুছের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করা হয়েছে। বুধবার সকালে রাঙামাটি শহরের বনরুপার আমার বাড়ি নামক একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ উত্থাপিত হয়।

এ সময় ইউনুছ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক তাদের জমি দখলে নিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ করেন মালিকানা দাবিদার গোলনাহার বেগমের মেয়ে মর্জিনা আক্তার।

ইউনুছের বিরুদ্ধে অভিযোগে মর্জিনা বলেন, লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বাইট্টাপাড়ায় আমার মা গোলনাহার বেগমের নামে দুই দাগে সাড়ে পাঁচ একর জায়গা আছে, যা সম্পূর্ণ রেকর্ডীয় এবং যেখানে আমরা স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছি। বর্তমানে হঠাৎ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এবং তার দলের উপজেলা নেতাদের সহায়তায় আমাদের জায়গা দখল করে নিচ্ছেন মুহাম্মদ ইউনুছ। এতে আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করলে জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

তিনি বলেন, ২০২২ সালে ইউনুছের বিরুদ্ধে একটি নিষেধাজ্ঞা এবং একটি উচ্ছেদ মামলা করা হয়। এতে গত ৫ জানুয়ারি নিষেধাজ্ঞা জারি করে আগামী ৮ মে পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন রাঙামাটির আদালত; কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে জায়গা দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করছেন ইউনুছ।

মর্জিনা বলেন, ৭ জানুয়ারি রাতে ইউনুছ তার দলবল নিয়ে আমাদের জায়গা দখলে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করেছেন। তার আগে বাড়িতে একা পেয়ে ইউনুছ আমার ছোট বোনকে জোরপূর্বক কীটনাশক খাইয়ে মারার চেষ্টা করেন। এতে আমার ছোট বোন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আমরা খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওই সুযোগে রাতেই আমাদের জমি দখল করে ফেলে ইউনুছ। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও বিএনপির স্থানীয় নেতাদের জানিয়েছি। লংগদু থানায় ইউনুছের বিরুদ্ধে মামলা দিতে গেলে প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া সম্ভব নয় বলে আমাদের জানিয়ে দিয়েছে থানা কর্তৃপক্ষ। তাই কোথাও প্রতিকার না পাওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান উপদেষ্টা, ঊর্ধ্বতন প্রশাসনসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চাইতে বাধ্য হচ্ছি। ইউনুছ অর্থসম্পদশালী আর লংগদু উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব। বর্তমানে সে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী।

এ ব্যাপারে লংগদু উপজেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি ওই জমির মালিক নাকি সৈয়দ মুহাম্মদ ইউনুছ। আমার জানামতে, ইউনুছ তার নিজের জায়গায় ঘর তৈরি করেছেন। তবে গোলনাহারের কাগজপত্র সঠিক হলে তার জায়গা তিনি অবশ্যই পাবেন।

লংগদু থানার ওসি ফেরদৌস তৌহিদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে এক ভদ্র মহিলা থানায় অভিযোগ করলে থানা থেকে তদন্ত করে বিবাদীকে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাড়িঘর নির্মাণ না করতে বলা হয়েছে। কারণ এটা সম্পূর্ণ আইন-আদালতের বিষয়।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সৈয়দ মুহাম্মদ ইউনুছ দাবি করেন, আমার বিরুদ্ধে করা ওই মহিলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি আমার নিজের জায়গায় ঘর নির্মাণ করেছি। জায়গাটি আমি এক পাহাড়ি লোকের কাছ থেকে কিনে আমার নামে রেকর্ড করেছি। এর আগে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে আমার জায়গাটি দখল করে রেখেছিল তারা। বর্তমানে তাদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করে আমার জায়গায় বাড়িঘর নির্মাণসহ সংস্কার কাজ করছি। এখন যিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করছেন তার স্বামী লংগদু উপজেলা যুবলীগের সদস্য। বিগত সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশের সহায়তায় তারা আমার জায়গাটি বেদখল করে রেখেছিল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম