বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করল আ.লীগ নেতাকর্মীরা
চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
রাজশাহীর চারঘাটে গুলি ফুটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে ভাঙচুর করা হয়েছে স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়েও। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ডাকরা বাজারের কাছে এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চারঘাট মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তির নাম মুনশাদ আলী। ডাকরা বাজারের কাছেই তার বাড়ি। মারধর ও হামলার ঘটনায় তার ছেলে যুবদল নেতা সোহানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি, নগদ চার লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।
জানা গেছে, কলেজছাত্রীকে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর ও লুটপাটে অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া রাজু আশুলিয়া থানা স্বেচ্চাসেবক লীগের সহসভাপতি বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে
হেলমেট পরে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল হাতে পিস্তল নিয়ে গুলি বর্ষণ করে এলাকায় আতঙ্ক
সৃষ্টি করে। প্রথমে তারা আসাদুল ইসলাম আশিকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট
চালায়। পরে আশিকের প্রতিবেশী সিহাব, আলাউদ্দিন
বাবু, বুলবুল ও ঝন্টুর বাড়িতেও ভাঙচুর চালায়।
এ সময় মুনশাদ আলী তাদের বাধা দিলে হামলাকারীরা তাকে মারধর করে। এতে মাটিতে লুটিয়ে
পড়েনি তিনি। এরপর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ও ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।
হামলার সময় স্থানীয়রা দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে অস্ত্রের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসননি। আধাঘণ্টার মতো তাণ্ডব চালিয়ে গুলি করতে করতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, সোমবার ডাকরা বাজারে এক কলেজছাত্রীকে ইভিটিজিং করেছিল সিহাব, রাজুসহ কয়েকজন যুবক। এর প্রতিবাদ করে আশিক। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। এর জেরে মঙ্গলবার সকালে রাজু, মিঠুন ও সিহাবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কয়েকজন সমর্থক অস্ত্র হাতে বাড়িগুলোতে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে চারঘাট মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন
বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
পরিস্থিতি এখন শান্ত। ’