ছেলের জুয়ার দেনা সইতে না পেরে মায়ের আত্মহত্যা
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০১ পিএম
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছেলে অনিল পাল জুয়া খেলে ২৭ লাখ টাকা দেনা করেছেন। সেই দেনার দায় সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন মা দিপালী রানী পাল (৫৫)।
সোমবার রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে দিপালীর। ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ পালপাড়া গ্রামের নিরঞ্জন পালের স্ত্রী দিপালী। অনিল ছাড়াও তিন কন্যাসন্তান রয়েছে তাদের সংসারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনিলের মা দিপালী দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। ছেলে জুয়া খেলে ২৭ লাখ টাকা দেনা করেছে। পাওনাদারের চাপে ব্যবসা বন্ধ করে বাড়িতে চলে আসেন অনিল; কিন্তু পাওনাদাররা তার বাড়িতে গিয়ে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেন।
দেনার চাপ সহ্য করতে না পেরে সোমবার সকালে ইঁদুর মারার বিষ পান করেন অনিলের মা। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে লোকজন দিপালীকে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই মৃত্যু হয় দিপালীর।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আলমগীর মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ছেলে জুয়া খেলে অনেক টাকা দেনা করেছেন। এ দুঃখে দিপালী ইঁদুর মারার বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন।
ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকছেদুর রহমান জানান, ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে দিপালী রানী পাল নামের এক মহিলা আত্মহত্যা করেছেন। তার মরদেহ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। আমি ওই গ্রামে পুলিশ পাঠিয়েছি।