Logo
Logo
×

সারাদেশ

এক প্রবাসীর হাতে আরেক প্রবাসী অপহৃত, মুক্তিপণ আদায় সাড়ে ১১ লাখ

Icon

ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৪ পিএম

এক প্রবাসীর হাতে আরেক প্রবাসী অপহৃত, মুক্তিপণ আদায় সাড়ে ১১ লাখ

লিবিয়ায় এক প্রবাসীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  মুক্তিপণ হিসেবে সেই প্রবাসীর বাবা সাড়ে ১১ লাখ টাকা দিয়েছেন অপহরণকারীদের।  টাকা পাওয়ার পর ওই প্রবাসীকে লিবিয়ায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এবার সেই প্রবাসীর বাবা মুক্তিপণের টাকা ফেরত পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। চেয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তাও।

সোমবার কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান প্রবাসীর বাবা নাসির উদ্দীন খান।উপজেলার সদর ইউনিয়নে ধান্যদৌল গ্রামের এই বাসিন্দার ছেলের নাম শাকিল খান। তিনি লিবিয়ায় থাকেন। 

লিখিত বক্তব্যে নাসির উদ্দিন জানান, ছয় বছর আগে তার ছেলে শাকিল লিবিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানে টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেন তিনি। গত বছরের ১৮ নভেম্বর এক বাঙালি প্রবাসী শাকিলকে কাজ দেওয়া কথা বলে ডাকেন। ডাকা হয় আরও দুজনকে।  কাজের জন্য ওই তিনজন সেখানে গেলে অর্ডার দেওয়ার কথা বলে ওই বাঙালি প্রবাসী তার মালিকের বাসায় নিয়ে যান।এরপর তাদের একটি রুমে আটকে রাখা হয়।  মাথায় ঠেকানো হয় পিস্তলও। চালানো হয় নির্যাতন।

এর তিন দিন পর একটি বিদেশি নম্বর থেকে নাসির উদ্দিনের মোবাইলে কল আসে। ছেলের নির্যাতনের ছবি পাঠিয়ে তাকে অপহরণের কথা জানানো হয়। চাওয়া হয় ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ।দেওয়া হয় বাংলাদেশি অ্যাকাউন্ট নম্বর, যেটি কিনা ইমলামী ব্যাংকের। টাকা না দিলে শাকিলকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।

কল করার তিন দিন পর ওই অ্যাকাউন্টে পাঁচ লাখ টাকা পাঠান নাসির উদ্দিন।  আর ডিসেম্বরের তারিখে অপহরণকারীরা ফের ফোন দিয়ে আরও পাঁচ লাখ টাকা পাঠানোর দাবি করে।  ছেলের জন্য সেদিন আবার পাঁচ লাখ টাকা পাঠান এই বাবা।  এরপর ১১ ডিসেম্বর ফোন করে আরও আড়াই লাখ টাকা পাঠানোর জন্য বলে অপহরণকারীরা।  সেবার দেড় লাখ টাকা জোগাড় করে পাঠাতে পারেন তিনি।

নাসির উদ্দিন বলেন, সাড়ে ১১ লাখ টাকা দেওয়ার চার দিন পর তারা আমার ছেলেকে মুক্তি দেয়। বর্তমানে শাকিল তার লিবিয়ার বাসাতে রয়েছে। আমি যেসব অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছি সেগুলো সব ইসলামী ব্যাংকের। এসব অ্যাকাউন্টের মালিককে ধরলেই চক্রকে ধরা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে অপহরণকারী প্রবাসী বিচার ও মুক্তিপণের টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা চান এই বাবা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম