Logo
Logo
×

সারাদেশ

আমতলীতে আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, আমতলী (বরগুনা)

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৫ পিএম

আমতলীতে আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের অভিযোগ তুলে বরগুনা জেলার আমতলী পৌর শ্রমিক দল সভাপতি মিল্টন হাওলাদার গুলিশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবাহান লিটনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন। 

সোমবার বিকাল ৩টার দিকে আমতলী পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন আহত আব্দুস সোবাহান লিটন। 

তিনি অভিযোগ করেন, তাকে শ্রমিক দল সভাপতি মিল্টন মারধর করেই খ্যান্ত হননি, তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে বাধা দিয়েছেন। পরে স্বজনরা তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছেন।  

জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবাহান লিটন সোমবার দুপুরে একটি কাজের জন্য আমতলী পৌরসভা কার্যালয়ে যান। কাজ শেষে বের হওয়ার পরপরই আমতলী পৌর শ্রমিক দল সভাপতি মিল্টন হাওলাদারের নেতৃত্বে ৮-১০ জন নেতাকর্মী তাকে তুলে নিয়ে যান। 

পরে তাকে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের অভিযোগ তুলে শ্রমিক দল নেতাকর্মীরা পিটিয়ে জখম করেন। এতে তার হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পথে শ্রমিক দল নেতার বাধার কারণে তিনি হাসপাতালে যেতে পারেননি- এমন অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার। ওই দিন সন্ধ্যায় স্বজনরা তাকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। 

অপরদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির ডাকা হরতালে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সোবাহান লিটন শ্রমিক দল সভাপতি মিল্টন হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধর করেন। ওই ঘটনার জেরে তাকে মারধর করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, শ্রমিকদল নেতা মিল্টন হাওলাদারের নেতৃত্বে ৮-১০ জন নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সোবাহান লিটনকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে।  

গুলিশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবাহান লিটন বলেন, পৌরসভা কার্যালয় থেকে কাজ শেষে বাহিরে বের হই। এমন সময় পৌর শ্রমিক দল সভাপতি মিল্টন হাওলাদারের নেতৃত্বে ৮-১০ জন নেতাকর্মী আমাকে তুলে নিয়ে যান। পরে তারা আমাকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের অভিযোগ তুলে পিটিয়ে জখম করেছে। 

তিনি আরও বলেন, তারা আমাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধা দিয়েছে। আমি তাদের বাধার কারণে হাসপাতালে যেতে পারিনি। আমি এ ঘটনায় শাস্তি দাবি করছি।  

এ বিষয়ে আমতলী পৌর শ্রমিক দল সভাপতি মিল্টন হাওলাদারের মুঠোফোনে (০১৭১৯৬৩৩৪৬৩) বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

আমতলী থানার ওসি আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম