Logo
Logo
×

সারাদেশ

দখলমুক্ত হলো কহলখালী খাল

Icon

কুতুবদিয়া ( কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম

দখলমুক্ত হলো কহলখালী খাল

কক্সবাজারের পেকুয়ায় অবৈধ দখল ও ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট হয়ে যাওয়া প্রাচীনতম কহলখালী খালটি দীর্ঘ ১৭ বছর পর দখলমুক্ত হয়েছে।  

দখলমুক্ত হয়ে পানিপ্রবাহ দেখে খাল নির্ভর কৃষকদের মনে স্বস্তি ফিরেছে। তারা বলছেন, গত আমন মৌসুমে খালে পানি না থাকায় অনেক জমিতে চাষাবাদ সম্ভব হয়নি। চলতি মৌসুমে সেচ সংকট হবে না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের পাশে জেনারেল হাসপাতাল থেকে পেকুয়া শহীদ জিয়া ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠ পর্যন্ত খাল খননকাজ চলছে। খালের দুই পাড়ে রয়েছে ঘনবসতি। এছাড়া কিছু কিছু অংশ প্রভাবশালীরা দখল করে দোকান নির্মাণ করেছেন। 

স্থানীয়রা বলছেন, দুই পাড়ের মানুষ ও পেকুয়া বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলার মত সুনির্দিষ্ট কোনো ডাস্টবিন না থাকায় এ খালকে ব্যবহার করছে। যার কারণে খালটি দ্রুত ভরাট হয়ে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এখনো খালের যে অংশ খনন কাজ শেষ হয়েছে সেখানে ফেলা হচ্ছে ময়লা। 

উপজেলা প্রশাসন জানায়, পহেলা জানুয়ারি থেকে ১৮৫০ মিটার খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে। বেসরকারি এনজিও সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (WFP) এর অর্থায়নে খনন কাজটি বাস্তবায়ন করছেন রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক)। প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ জন শ্রমিক খাল খননের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। 

স্থানীয় সুমন বিশ্বাস বলেন, খালটি খনন হওয়ায় কৃষকরা অনেক খুশি হয়েছেন। তবে প্রচীনতম খালটি পুনরায় যেন ভরাট না হয় সে বিষয়ে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকতে হবে। পুনরায় ময়লা ফেলা হলে আবারও খালটি ভরাট হয়ে যাবে। এতে কৃষকের ভোগান্তি আরও প্রকট আকার ধারণ করবে। 

রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর সুপারভাইজার  হোসনে মোবারক আরমান যুগান্তরকে বলেন, পহেলা জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া খনন কাজ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। খননের ফলে আগামী দিনে কৃষকের পানিসংকট দেখা দেবে না। 

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (WFP) প্রকল্প প্রকৌশলী শাহ আলম খান রকি ও রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর প্রকৌশলী শেখ আহনাফ তাহমীদ যুগান্তরকে বলেন, অযত্নে-অবহেলায় পড়ে থাকা খালটি স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় খনন করে হচ্ছে। এতে খালটি দখলমুক্ত করা হচ্ছে। খালটি খনন করার পর যেন পূর্বের অবস্থায় ফিরে না যায় সে বিষয়ে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকতে হবে। 

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, খালটি বেসরকারি এনজিও সংস্থার অর্থায়নে খনন করা হচ্ছে।  ময়লা আবর্জনা না ফেলতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খালের উপর যারা অবৈধ দখলদার ছিলো তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুনরায় দখল করলে বা ময়লা ফেলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

জানা যায়, এর আগে সদ্য বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজুসহ স্থানীয় কয়েকজন আগ্রহী হয়ে খাল পরিষ্কার কাজ শুরু করেছিলেন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম