ধর্ষণচেষ্টার মিথ্যা মামলা করায় গৃহবধূর পরিণতি
যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন মাজেদা নামের এক গৃহবধূ। তদন্তে বাদীর মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পরে ওই মামলার আসামি বাদী হয়ে ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
সোমবার মূল মামলার বাদী মাজেদা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু।
মাজেদা (৩৫) বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার গাবতলী গ্রামের মো. রফিক হাওলাদারের মেয়ে।
জানা যায়, গৃহবধূ মাজেদা বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ওই ট্রাইব্যুনালে মো. ইউসুফ হাওলাদারের (৪০) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ওই বছর ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে বসতঘরে ঢুকে মাজেদাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করতে গিয়ে বাধার মুখে ব্যর্থ হন মো. ইউসুফ হাওলাদার। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য বরগুনার ডিবিপ্রধানকে নির্দেশ দেন।
তদন্ত শেষে ডিবি কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর গৃহবধূর মামলা মিথ্যা মর্মে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করেন। গৃহবধূর মামলা ট্রাইব্যুনাল নথিজাত করে ইউসুফ হাওলাদারকে অব্যাহতি দেন।
এদিকে গৃহবধূর দায়ের করা মিথ্যা মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মাজেদার বিরুদ্ধে ১৫ জানুয়ারি মো. ইউসুফ হাওলাদার মামলা করেন। ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক গৃহবধূর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। সোমবার মাজেদা আইনজীবীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী মো. আবদুল মোতালেব মিয়া বলেন, পুলিশ আসামিদের দ্বারা বাধ্য হয়ে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয়। আমার মক্কেল তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেয়নি। তিনি বুঝতে পারেননি। আমি আবার জামিনের আবেদন করব।
রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু বলেন, কেউ মিথ্যা মামলা করলে তাকে জেলহাজতে যেতে হয়। এই মেসেজটি সবার জন্য ভালো। শত্রুতা দমন করার জন্য আর কেউ মিথ্যা মামলা করতে আসবে না।