Logo
Logo
×

সারাদেশ

মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী সাগরদাঁড়ির মধুপল্লিতে লাখো প্রাণের উচ্ছ্বাস

Icon

যশোর ব্যুরো ও কেশবপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫০ পিএম

মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী সাগরদাঁড়ির মধুপল্লিতে লাখো প্রাণের উচ্ছ্বাস

বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্মের দুইশ বছর পরও অনবদ্য সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে অমর হয়ে আছেন। মহাকবির ২০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে কবিতীর্থ সাগরদাঁড়িতে এখন চলছে লাখো প্রাণের উচ্ছ্বাস। সপ্তাহব্যাপী মেলা ঘিরে ভক্ত, দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সাগরদাঁড়ির মধুপল্লি। 

১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতায় মারা যান মধুসূদন দত্ত। এরপর কবির ভাইয়ের মেয়ে কবি মানকুমারী বসু ১৮৯০ সালে সাগরদাঁড়িতে প্রথম স্মরণসভার আয়োজন করেন। সেই থেকে সাগরদাঁড়িতে মধুসূদনের জš§দিনে স্মরণোৎসব হয়ে আসছে। 

মধুসূদন গবেষক ও কবি খসরু পারভেজ বলেন, ১৯১৯ সালে কলকাতার বিশিষ্ট কবি নগেন্দ্রনাথ সোম ‘মধুস্মৃতি’ গ্রন্থে লিখেছেন মাইকেল মধুসূদনের জš§তিথিতে স্মরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। সেই হিসাবে স্মরণ অনুষ্ঠানের বয়স কমপক্ষে ১০৬ বছর। ধারণ করা হয়, তারও আগে থেকে মধুসূদন স্মরণ অনুষ্ঠান হচ্ছে। তবে সাগরদাঁড়িতে মেলা চালু হয়েছে ১৯৮০ দশকের দিকে বিসিকের উদ্যোগে।

চার দশকের বেশি সময় ধরে সাগরদাঁড়িতে মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম উৎসব ঘিরে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা বসছে। নাগরদোলা, সার্কাস, পুতুল নাচ, যাত্রাপালা, মোটরসাইকেল ও কার রেসের মতো আয়োজন ঘিরে মানুষের আকর্ষণ বেড়েছে। সেই সঙ্গে মেলার অন্যতম অনুষঙ্গ হরেকরকমের মিষ্টি, প্রসাধনী, খেলনা, নিত্যপণ্যের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা পছন্দের পণ্য কিনছেন। উপভোগ করছেন আয়োজনসহ বিনোদন।

দর্শনার্থীদের হƒদয়স্পর্শ করেছে ‘জুলাই বিপ্লব কর্নার’ : জুলাই বিপ্লবের গৌরবময় চিত্র তুলে ধরে একটি কর্নার করা হয়েছে। সেখানে স্থান পেয়েছে জুলাই বিপ্লবের বীর শহিদদের গৌরবগাথা। সংগ্রামের দিনগুলোর আলোকচিত্র। স্মরণ করা হয়েছে বিপ্লবের শহিদ আবু সাঈদসহ নিহত ও আহতদের। জুলাই বিপ্লবে নিহত যশোরের কেশবপুরের ভালুকঘরের ছেলে তৌহিদুর রহমানের ছবি ও সংক্ষিপ্ত সংগ্রামের ইতিহাস স্থান পেয়েছে এই কর্নারে।

৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। বর্ণনা করা হয়েছে তার গৌরবগাথা। আন্দোলনে কেশবপুর ও যশোরের স্থিরচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকায় আন্দোলনের সেসব দিনগুলো ফুটে উঠেছে আলোকচিত্রে। জুলাই বিপ্লব কর্নারে এসে দর্শনার্থীরা যেন স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছেন। তাদের গভীর চিত্তে স্মরণ করছেন।

মেলার সার্বিক আয়োজন বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সপ্তাহব্যাপী মেলা চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাকি দিনগুলোও ভালোভাবে শেষ হবে বলে আশাবাদী।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম