Logo
Logo
×

সারাদেশ

৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধের ওপর এ কেমন বর্বরতা!

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, তাহিরপুর

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম

৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধের ওপর এ কেমন বর্বরতা!

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে জমি-জমাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন ৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধ আব্দুস ছোবান ওরফে চাঁন মিয়াকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে।

১৪ দিন ধরে মুমূর্ষু অবস্থায় তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রোববার বিষয়টি জানাজানি হয়।

আব্দুস ছোবান ওরফে চাঁন মিয়া সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের উত্তর বড়দল ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদের ছেলে।

এ ঘটনায় জড়িত উপজেলার আমতৈল গ্রামের আব্দুল হাই মাস্টারের (অব.) ছেলে এনামুল, লাল মিয়ার ছেলে মুর্শিদসহ ৭ জনের নামে গত ১৩ জানুয়ারি তাহিরপুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

রোববার থানায় দেওয়া অভিযোগ ও উপজেলার আমতৈল গ্রামের আহত আব্দুস ছোবান ওরফে চাঁন মিয়ার ছেলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জমি-জমাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গেল ১৩ জানুয়ারি রাতে উপজেলার আমতৈল গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে এনামুলের নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চাঁন মিয়াকে ডেকে নেওয়া হয় পাশের মাটিকাটা বন্দে (হাওড়)।

এরপর ধারালো দা দিয়ে এনামুলের নেতৃত্বে বয়োবৃদ্ধের মাথা, ঘাড়, দুই হাত দুই পা কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মৃত ভেবে হাওড়ে ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা।

এরপর গ্রামবাসী হাওড় থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় চাঁন মিয়াকে উদ্ধার করে রাতেই তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে শরীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রোববার উপজেলার আমতৈল গ্রামের আহত আব্দুস ছোবান ওরফে চাঁন মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া বলেন, জমি-জমা, পূর্বে আদালতে বিচারাধীন একটি মামলার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বাবাকে নির্জন হাওড়ে কৌশলে ডেকে নিয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা চালায়।

রোববার আব্দুল হাই মাস্টারের ছেলে এনামুলের কাছে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামের বয়োবৃদ্ধকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে নিজেকে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক দাবি করে তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই; তবে আমার চাচাতো ভাই মুর্শিদ, জামির, আহাদ, সুর আলম হামলা করেছে।

হামলার কারণ হিসেবে জানতে চাইলে এনামুল বলেন, গত ৪ বছর পূর্বে জমি-জমা নিয়ে একটি মারামারির ঘটনায় আদালতে বিচারাধীন একটি মামলা আপসের জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়; সম্ভবত ওই মামলার কারণেই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম