নবাবগঞ্জে সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম
ঢাকার নবাবগঞ্জে নাজমুল হোসেন অন্তর নামে এক সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার গভীর রাতে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের রাহুৎহাটি এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত অন্তর বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নাজমুল নবাবগঞ্জের নয়নশ্রী ইউনিয়নের খানেপুর গ্রামের মানিক বেপারীর ছেলে। তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন ও আমাদের সময় পত্রিকায় নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
নাজমুল হোসেন জানান, শনিবার দোহারের জয়পাড়া মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে যান তিনি। মাহফিল শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। রাহুৎহাটি এলাকায় পৌঁছালে দুজন মুখোশ পরিহত লোক তার গতিরোধ করে। তাদের হাতে অস্ত্র দেখে মোটরসাইকেল ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন নাজমুল। এ সময় পেছন থেকে নাজমুলকে কোপাতে থাকে দুর্বৃত্তরা। এতে হাত ও পায়ে জখম হয় তার।
পরবর্তীতে সেখান থেকে দৌড়ে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনে আশ্রয় নেন নাজমুল।এরই মধ্যে তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায় দৃর্বৃত্তরা।পরে জাগরণী চক্রের সদস্যরা নাজমুলকে উদ্ধার করে বান্দুরা মডার্ন ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. সাইমুন বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি আমাদের এখানে আসেন। তার ওপর দুজন হামলা চালিয়েছিল।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হরগোবিন্দ সরকার বলেন, নাজমুলের ডান হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় আমরা তাকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠাই। রোববার দুপুর দেড়টায় তার অস্ত্রোপচার হয়েছে।
নাজমুলের ছোট ভাই নয়ন বলেন, রোববার সকালে ভাইয়ের মোটরসাইকেলটি নয়নশ্রী ইউনিয়নের দেওতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন ইছামতি নদীর তীর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। হামলাকারীরা ডাকাত হলে মোটরসাইকেলটি ফেলে যেত না। হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শক করা হয়েছে। মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হলেও নাজমুলের ব্যবহৃত মোবাইলটি এখনো পাওয়া যায়নি। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।